Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
নরসিংদীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২২ নভেম্বর ২০১৮ঃ মো.রাসেল মিয়া, নরসিংদী প্রতিনিদিঃ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরো দুই জনের লাশ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের চরমধুয়া গ্রামের তীরবর্ত্তী মেঘনা নদী থেকে কাউসার ও আব্দুল হাই নামে দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে রায়পুরা থানা পুলিশ। এনিয়ে ওই সংঘর্ষে মোট ৫ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। 

নিহতরা হলো বাশঁগাড়ী ইউপি সদস্য জয়নাল মেম্বারের ছেলে কাউসার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল হাই (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

উল্লেখ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে ১৬ই নভেম্বর শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। পরে দুপুরে এই সংঘর্ষ পাশ^বতী ইউনিয়ন নিলক্ষায় বিবিধ মান দুইটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ একাধিক ব্যাক্তিকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। ওই সময় তৎক্ষনিক ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক।

ঘটনার ৭দিন পর বিকেলে চরমধুয়া মেঘনানদী তীরবত্তী এলাকায় দুই জনের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতেদের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে হত্যার ঘটনায় রায়পুরা থানায় দুইটি হত্যামামলা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা সহ মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ১৩ জনকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রায়পুরা থানার ওসি (অপারেশন) মোজাফ্ফর হোসেন খোলাবাজার ২৪কে জানান, মেঘনা নদী থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা তাদের হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছিল।