
খোলা বাজার ২৪,সোমবার,২৬ নভেম্বর ২০১৮ঃঝালকাঠির রাজাপুরে এক তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার ৩০ নং রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুরভী আক্তারের রোববার পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও পারিবারিক সমস্যার কারণে সে পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেনি। তার জায়গায় একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শামীমা আক্তার পরীক্ষায় অংশ নেন।
এ খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল ওই বিদ্যালয়ে স্থাপিত পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কেন্দ্র সচিব মাহমুদা খানম প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন হাজিরা খাতায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর কেটে অনপুস্থিত দেখান। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছবি প্রদর্শন করলে শামীমাকে সুরভী বলে দাবি করেন ও অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানান শিক্ষিকা মাহমুদা।
পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ছবি নিয়ে শামীমার বাড়িতে উপস্থিত হলে শামীমা (কথিত সুরভী) জানায় সে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। শামীমার ছোট ভাইও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানায় তার বোন রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ‘খ’ শাখার ছাত্রী ও রোল নং-৩৫। শামীমা উপজেলার ডিগ্রি কলেজ এলাকার মো. শামীম মৃধার মেয়ে।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর কাছে ছবি প্রদর্শন করলে তারা নিশ্চিত করেন প্রক্সি দেওয়া পরীক্ষার্থী তাদের সহপাঠি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাম শামীমা। এ বিষয়ে শামীমার বাবা শামীম মৃধা জানান, আমার মেয়ে ৩০ নং রাজাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। চলমান পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের একটি মেয়ে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষিকা মাহমুদা আমার মেয়েকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন।
প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক পানিসমেন্ট বদলি হওয়া ও বর্তমানে কেওতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিক চক্রান্ত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসব ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ বেগম পারুল জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।