Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,সোমবার,২৬ নভেম্বর ২০১৮ঃ (মোঃরাসেল মিয়াঃনরসিংদীপ্রতিনিধি) নরসিংদীর পলাশ শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন জুট মিলে ৬ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ থাকায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কর্মচারীদের আর্থিক সমস্যা বেড়েই চলছে।

মিল সূত্রে জানা যায়,পাট সংকট থাকায় দৈনিক উৎপাদন ৪২ টন থেকে ১০ টনে নেমে এসেছে।মিলের উৎপাদিত প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের অবিক্রীত পাটজাত পণ্য মজুদ রয়েছে মিলের গুদাম ঘরে। স্থান সংকোলান না থাকায় উৎপাদিত ফিনিশিং বিভাগে যত্রতত্র পড়ে এসব পাটজাত পণ্য নষ্ট হচ্ছে। পণ্য বিক্রি না হওয়ায় অর্থ সংকটে পড়তে হচ্ছে মিল কর্তৃপক্ষকে। 

বাংলাদেশ জুট মিলের পণ্য বিক্রি করে থাকে বিজেএমসি। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি বাবদ বিজেএমসির কাছে ৭৩ কোটি টাকা পায় বাংলাদেশ জুট মিল। কিন্তু বিজেএমসি সময়মত টাকা না দেওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতন ভাতাদি দিতে পারছেনা মিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বেতন-ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে মিলের সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কর্মচারীদের।

মিলের শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,বকেয়া বেতন বন্ধ থাকায় আমরা ঋনগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি।দিনের পর দিন আমরা অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ এর দিকে তাকিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।যত দিন যাচ্ছে ততই আমাদের জীবনের চাকা থেমে যাচ্ছে।সপ্তাহে মাত্র এক হাজার ৮শ'টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মজুরি পাই।কিন্তু ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি না পেয়ে অনেকে মিলে আসছেন না।অনেক কষ্ট করে আমাদের পরিবার নিয়ে আমরা বেঁচে আছি।
এমন অবস্থায় জুট মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের আশ্বাস দিচ্ছেন।

মিলের সিবিএ সভাপতি ইউসুফ আলী খোলাবাজার২৪কে জানান, মিলের বিদ্যুৎ বিল ২ কোটি টাকা ও গ্যাস বিল ৬০ লাখ টাকা বকেয়া জমে গেছে।বকেয়া পরিশোধের জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দিচ্ছে।তাছাড়াও এই জুট মিলটিতে ৫শ'২০ তাঁতের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। পাটের অভাবে ৫শ'২০ তাতের মধ্যে চালু আছে মাত্র ১শ'টি তাত।বিজেএমসি টাকা না দেওয়ায় মিল কর্তৃপক্ষ চলতি ৬ সপ্তাহ ধরে শ্রমিক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মজুরি ও বেতন- ভাতাদি দিতে পারছেন না।

বাংলাদেশ জুটমিলের মহাব্যবস্থাপক মো.গোলাম রাব্বানী খোলাবাজার২৪কে জানান,বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য সরকারি ভাবে অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে।আশা রাখি শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরি চলতি সপ্তাহে প্রদান করা হবে।