Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২৯ নভেম্বর ২০১৮ঃ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির এক আদেশবলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯৭৮ সালে এটি কার্যক্রম শুরু করে। বিআরইবি গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ লাইন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তৈরি করে। গ্রামীন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তথা গ্রাম বাংলাকে শহরের অনুরুপ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত বিআরইবির উদ্যোগে ৭৮টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠিত হয়েছে। এই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমুহ সরকারের পরিকল্পিত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় গ্রিড হতে ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র হতে ১১ কেভি ফিডারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।

সারাদেশে ৭৮টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোড (Rural Electrification Board)গঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। যার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করা।

গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল আদায় করাও REB-র একটি মৌলিক দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই REB প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের পাশাপাশি গ্রাহকের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিদ্যুৎ বিল আদায় করে আসছিল। 

প্রযুক্তি প্রসারের সাথে সাথে REB-ও পিছিয়ে নেই। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড REB সম্প্রতি একটি বেসরকারী মোবাইল ফিন্যাান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী (Mobile Financial Service-MFS) প্রতিষ্ঠানের সাথে চৃক্তিবদ্ধ হয়েছে, যা বাংলাদেশে “বিকাশ” নামে পরিচিত।

বিষয়টি সকল মহলের কাছে সমাদৃত হয় এই ভেবে যে, REB এখন সরকারী ব্যাংকের বলয় থেকে বের হয়ে এসে একটি নজির স্থাপন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যান্য বেসরকারী ব্যাংকের (যাদের MFS রয়েছে) তাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের চুক্তি করতে REB-র সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এখনও কেউ REB-র কাছে থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে না। বরং নানা অজুহাতে REB-র বিরুদ্ধে কালক্ষেপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বিষয়টি নিয়ে  অনুসন্ধান করে জানা গেল, REB-র কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং অন্য কোন MFS কোম্পানীর সাথে কোন চুক্তি করছে না। ফলে গ্রামীর জনগোষ্ঠীর পল্লী বিদ্যুতের বিপুল পরিমান গ্রাহক তাদের বিল পরিশোধ করতে নানা ধরনের হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বিশেষ করে মাত্র একটি MFS থাকাতে তারা বিকাশের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। 

অনেক গ্রাহক অভিযোগ  করে বলেন আরও  MFS থাকলে তাদের বিল পরিশোধ করতে সহজ হতো । বর্তমানে একটি মাত্র MFS থাকাতে গ্রাহকদের  বিদ্যুত বিল পরিশোধের জন্য তাদেরকে শুধুমাত্র বিকাশের মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে।

গ্রাহকের দাবী তাদের বিল পরিশোধ এর সুবিধার কথা বিবেচনা করে REB যেন দেশের সকল MFS প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করবেন।