Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪, সোমবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ গত পাঁচদিন যাবত ব্যাংককের বামরূনগ্রাদ হাসপাতাল চিকিৎসা চলছে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও দেশবরেণ্য চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের। সেখান থেকে বাবাকে নিয়ে আশার খবর জানালেন তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান। তিনি তার বাবার শারীরিক অবস্থার কথা ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান। তিনি লিখেছেন, সকল প্রশংসা পরম করুণাময় আল্লাহতালার। দুদিন পর ডাক্তার পংসাথরন (নিউরো মেডিসিন ইনটেনসিভ কেয়ার) আজ আমাকে ডাকলেন, সাথে বড় ভাইয়াও ছিল। আমাদের নিয়ে আলাদা করে বসলেন, কিছু একটা বলবেন বুঝতেই পারছিলাম। তবে সেটা ভালো না মন্দ বুঝতে পারছিলাম না। খুব ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম।ডাক্তার সেটা বুঝতে পেরে বললেন, তোমার বাবার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাদের দেয়া ট্রিটমেন্ট আর মেডিসিন খুব ভালো কাজ করছে বাবার উপর। বাবার কিডনি পৎরঃরহরহব লেভেল কমেছে, ইনফেকশন গুলো আর বাড়েনি, ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক হচ্ছে, হার্টবিটের রেসপনসও ভালো, আরো ভালো লাগলো যখন জানলাম বাবার যে প্লাটিলেটস ২০ হাজারে নেমে গিয়েছিল তা এখন ৫৫ হাজার এর একটু উপরে। বাকি থাকলো ব্রেন ড্যামেজ এর বিষয়টা। এটা নিয়ে ডাক্তাররা ৭ দিন পর বলতে পারবেন। আদৌ বাবা তার স্মৃতিশক্তি ফিরে পাবেন বা চোখ খুলে তাকাতে পারবেন কিনা…। যদিও ডাক্তাররা মনে করছেন খুব মারাত্মক স্ট্রোক করাতে বাবার ব্রেনে অনেক পরিমান ড্যামেজ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তারপরও এখানকার ডাক্তাররা হাল ছাড়তে নারাজ। বাবার মাথায় অনেক উন্নত মানের মেডিসিন পাঠানো হচ্ছে। এইসব তথ্য দিয়ে বাবার ডাক্তার বেরিয়ে গেলেন। যাওয়ার সময় উনিও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করলেন… আর আমাদের দুই ভাইকে বললেন। এরপরই বাবাকে দেখতে দেয়া হলো, অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর দেখলাম। বেশ পরিপাটি করে ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে আই সি ইউ তে বাবাকে রাখা হয়েছে। অনেক ক্লান্ত হলে বাবা বাসায় যেভাবে ঘুমাতো. ঠিক তেমনি। চোখে পানি আসলেও শান্তি পেলাম, বাবা তার শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা পাচ্ছে। আল্লাহ সত্যি মেহেরবান। এখনও বাবার মুখে উজ্জ্বল আলো। বেঁচে থাকার দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আপনারা দোয়া করবেন তার জন্য। উল্লেখ্য, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গত ১৮ই  নভেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে(আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শুরু থেকেই তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়। বাংলাদেশের বরেণ্য এই নির্মাতার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মাথায় তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  পরবর্তীতে তিনি উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৪২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান।