Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 খােলাবাজার২৪, মঙ্গলবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ রোজ সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নানা অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, নয়াপল্টন হচ্ছে-মিথ্যাচারের ফ্যাক্টরি। সেখানে একজন আবাসিক নেতা রয়েছেন, তিনি সবসময়ই মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়-বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস বলে-জিয়া পরিবারই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে কারা বিদেশ পাঠিয়েছিল, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে কারা খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, কারা পঞ্চম সংশোধনী করেছিল-সবই দেশবাসী জানে। বিএনপিই এসব করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি (সুবিধাভোগী) জিয়াউর রহমান, তার ছেলে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকন্যা হত্যা প্রচেষ্টা (একুশ আগস্ট) মামলায় দণ্ডিত-এমতাবস্থায় জিয়া পরিবারকে বাংলাদেশে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কোনো চিন্তা আওয়ামী লীগের আছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বলে-জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। জিয়া পরিবারকে সরিয়ে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।
‘১৫ আগস্টের নেপথ্যে তারাই ছিল-খুঁজলে তাই বেরিয়ে আসবে। তারাই আবার সেই খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, পুনবার্সিত করেছে। আমাদের নেত্রীকে লক্ষ্য করে ২১ আগস্ট বোমা হামলা ঘটিয়েছিল। এর বিচারও হয়েছে’-যোগ করেন কাদের।
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার পাপে আমি ভিকটিম (ভুক্তভোগী)। আমার অন্যায়ে আমি ভিকটিম। এখানে অন্যদের কি করার আছে?

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত আদেশ দিয়েছেন। এখানে রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের হয়রানি করিনি।
বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপি বাণিজ্য করেছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে, তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে গিয়েও ধরণা দিচ্ছেন। আমাদের খবর আছে- সেসব বিএনপি নেতা (টাকা নেয়া) এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।