খােলাবাজার২৪,বুধবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসন থেকে কে হচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী তা নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।এই আসনে বিএনপি ও জোট এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে থেকে তিন জন ধানের শীষের নমিনেশন নিয়েছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী ২০ দলীয় জোটের (জামাত) প্রার্থী, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার (জেপি), বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য দেশনেত্রী বেগম খালেদাজিয়ার বিশ্বস্ত সহচর সময়ের সাহসী নেতা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য অাইনজীবী সাবেক মেজর(অব:) ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসন।
সাঈদীপুত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। যদিও ভিন্ন মত রয়েছে দলের চাওয়া-পায়া নিয়ে। জোটের নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে এই আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি উঠেছে।
এ আসনে জোট বা ঐক্যফ্রন্ট না বিএনপি থেকে প্রার্থী দেয়া হবে তা নিয়েও রয়েছে গুঞ্জন।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় শামীম সাঈদীকে নমিনেশন দিলে নির্বাচনে ভরাডুবি হবে তারা মাঠে নেমে কাজ করতে পারবেনা বলে মনে করেন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কারন এই জামাত বিগত দিনে বিএনপির সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি।মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ার পরে সারাদেশে আন্দোলন হয়েছে আনেক মানুষ মারাগিয়েছে কিন্তু এখানকার জামাত কিছুই করেনি!
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, শামীম সাঈদীর বাড়ি ইন্দুরকানি উপজেলায় হওয়ায় ফলে আরেক আসনের বাসিন্দাকে পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে তারা তা মেনেনিবেনা।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, শামীম সাঈদীকে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হলে দল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে এই আসনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার (জেপি) কে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করার ব্যপারে বিএনপির আনেক সিনিয়র নেতাই নমনিয়।