খােলাবাজার২৪,শুক্রবার,০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ বিজয় বার্তা সুখবরের, সুখের, আনন্দের। রাজনৈতিক অঙ্গনে বস্তুনিষ্ট বিজয় তো পরমান্দের, তৃপ্তির, সর্বোপরি জনপ্রিয়তার ভিত্তিরও। আর রাজনৈতিক অঙ্গনের বেশিরভাগ বিজয় আসে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য জনগণের সামনে তুলে ধরে তার ভিত্তিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে-যা গণতান্ত্রিক অধিকারও বটে। বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতান্ত্রিক অধিকার বিশেষ করে বিরোধী দল কতটুকু পালন করতে পারতেছে-তা দেশে তো বটেই; আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বহুল সমালোচিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ ? এমনি প্রেক্ষাপটে জাতির সামনে এসেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বাংলাদেশে এই সময়ের রাজনীতিতে কি ঘটছে, তা একটু চোখ-কান সজাগ রাখলেই বোঝা যাবে ? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় গত ০৮ নভেম্বর ২০১৮। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান রাখার ক্ষেত্রে আচরণবিধি অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্বপূর্ণ। তফসিল ঘোষণার পর নেতা-কর্মী-প্রার্থী-অনুসারীদের আচার-আচরণই বলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কতটুকু আছে ?
তফসিল ঘোষণার পর দেখা গেল বঙ্গভবনে আওয়ামীদের বৈঠক, গণভবনেতো বিশাল এক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী-বলা হয়েছে সে বৈঠক না কি সংসদীয় সদস্যদের। জনগণের প্রশ্ন-তফসিল ঘোষণার পর বঙ্গভবনে কিংবা গণভবনে যদি বৈঠক হয় তাহলে তা কি নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের মধ্যে পরে না ?
আবার সুত্রমতে জানা গেল অফির্সাস ক্লাবে প্রশাসনের লোকজনের সাথে আওয়ামীদের গোপন বৈঠক। নির্বাচন কালীন সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীদের কি গোপন বৈঠক হতে পারে তা হয়তো অন্যান্য দলের নেতা কর্মীরা এবং জনগণ বুঝেও গেছেন ? জনগণের প্রশ্ন-এটাও কি আচরণবিধি লংঘনের মধ্যে পরে না ?
তফসিল ঘোষণার পর দেখা গেল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আর উদ্বোধনের যেন হিরিক পরে গেল। জনতার প্রশ্ন-তফসিল ঘোষণার পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীদের এসব কাজ কি আচরণ বিধির লঙ্ঘন হয় না ?
সরকারী খরচে প্রচার-প্রচারণা চালানো কি আচরণবিধি লংঘনের মধ্যে পরে না ? না কি ইসি দেখেই দেখেন না,তা জনগণের প্রশ্ন ?
জনমনে আরো প্রশ্ন জেগেছে-টেকনোক্রেট কোটার মন্ত্রীরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েও মন্ত্রীসভার বৈঠকে কিভাবে বসে-মন্ত্রীত্ব চালায় কিভাবে ? এগুলো কি ক্ষমাসীনদের জন্য আচরণ বিধি লংঘন হয় না ?
মনোনয়ন পত্র তোলা ও দলীয় কার্যালয়ে জমাদানের ক্ষেত্রে দেখা গেল-আওয়ামীদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদে একজন নিহত হলেও, চলাচলের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হলেও সেখানে পুলিশ-প্রশাসনের ধর-পাকড়ের কোন তৎপরতাই ছিল না, মামলা তো ছিলই না। অপরদিকে বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন তোলা ও দলীয় কার্যালয়ে জমাদানের সময় দেখা গেল পুলিশ-প্রশাসনের চড়াও হওয়ার চরম প্রবনতা। সৃষ্ট অরাজকতায় হেলমেটধারীরা পুলিশের গাড়ীতে আগুন লাগালো আর মামলা হলো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। গ্রেফতার হলো, রিমান্ডে নিলো, জেলে নিলো আবার জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিলো বিএনপি নেত্রী নিপুন রায়, ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমাসহ অন্যান্য সক্রিয় নেতা-কর্মীদের। জনগণ ভাবছে আর বলাবলি করতেছে-বাহ! কি চমৎকার নীতি-এক দেশে দু’রকম-তাও আবার পুলিশ-প্রশাসন ? অতীতে দেখা গেছে এই হেলমেটধারীরা পুলিশের সাথে অস্ত্রসহ মিশে একাকার হয়ে যে কোন যৌক্তিক আন্দোলন দমাতে। এখানে প্রশ্ন যে, হেলমেটধারীরা যদি বিএনপি’র কর্মী বা সমর্থক হবে তাহলে তারা কিভাবে পুলিশের সাথে মিশে আন্দোলনকারী ছাত্র-সাংবাদিক-অবিভাবকদের উপর আক্রমন করে আহত করে। তখন পুলিশ কি তাদের (বিএনপিদের) ছাড়তো ? কেননা, আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বা ইশারায় এই পুলিশ-প্রশাসনের ভৌতিক ও অযৌক্তিক মামলার কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিনা আপরাধে, মিথ্যা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের হিড়িকে বাসায় বা এলাকায় থাকতে পারেন না। এমনো দেখা গেছে অনেকে অত্যাচার আর নির্যাতনের নির্মমতার স্বীকার হয়ে ঢাকা শহরে এসে রিক্সা চালাচ্ছে-তবুও তারা এই দল বিএনপি ত্যাগ করছেন না। এই রকম ঘটনায় জনগণ বুঝে ফেলছে মামলা-হামলা, জেল-জুলুম, গ্রেফতার-রিমান্ড, দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন আর দুর্বিনীত দুঃশাসনের দ্বারা এই বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না। জনগণ উপলব্ধি করতে পারতেছে এই দলে আছে গণমানুষের অসীম ভালবাসা আর আকুণ্ঠ সমর্থন।
এরপর ইসিতে মনোনয়নপত্র জমাদানের ক্ষেত্রে দেখা গেল আওয়ামী নেতাদের সাথে পুলিশ-প্রশাসনের (গাইবান্ধা জেলায়) একাকার হয়ে মিশে মনোনয়ন জমা দেওয়া-যা সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধির লংঘন। মাগুড়া জেলায় দেখা গেল-রিটানিং কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা তো দেখান-ই নি বরং সেখানে আওয়ামীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় চা-পানি-নাস্তা আপ্যায়ন করাতে; আপরদিকে বিএনপিদের বসতেই বলা হয়নি। এগুলো কি আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, দ্বি-মুখী নীতি আচরন নয় ? এইসব প্রশাসন ও কর্মকর্তা দ্বারা কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব-জনমনে এ প্রশ্ন আস্তহিমাচলের মতো দেখা দিয়েছে ? জনগণ ভাবছে-তারা ভোট দিবে এক প্রতীকে আর কাউন্ট হবে হয়তো অন্য কোন প্রতীকে-কিভাবে তাদের ভোট নিরাপদে কাউন্টিং ও প্রকাশ পাবে এদের হাতে ? অথচ এই পুলিশ-প্রশাসন ও রিটানিং কর্মকর্তাদের আওয়ামী-বিএনপি উভয়ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা সংবিধান সম্মত। আর এসব ক্ষেত্রে ইসি ও বর্তমান শেখ হাসিনা অধীন সরকার কি ভূমিকা পালন করছে তা জনমনে প্রশ্ন থেকে যায় এবং আতংক রয়ে যায় ?
এরপর এলো মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই পর্ব। এখানেও দেখা গেল পক্ষপাতিত্বের জোয়ার আর দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের প্রধাননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৩টি মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হলো প্রহসনের রায়ে সাজা হওয়ার কারণে। অথচ বরিশালের একটি আসনের আওয়ামী মহাজোটের এক মনোনয়নপ্রাপ্তর বিচারিক আদালতে ১৩ বছরের সাজার তথ্য গোপন রাখলেও-জেলা প্রশাসকের কাছে জানানো সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র বহাল আছে তার। জানা গেছে ম খ আলমগীর হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের কোন হিসাবই দেননি-তবুও তার মনোনয়ন আওয়ামী হওয়ার কারণে বৈধ আছে। এ কে এম শাহজাহান নামের এক আওয়ামী নেতার আর্থিক বিবরণীর হলফকৃত তথ্যের সাথে কোন মিল নেই-আওয়ামী হওয়ার কারণে তার মনোনয়নও বৈধ হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা হওয়ায় সাড়ে ৫ হাজার টাকার জন্য রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল হলো অথচ মাহী বি চৌধুরীর দল আওয়ামী মহাজোটে যাওয়ায় এক কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়েও মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধতা পেল। আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সাহেবের স্বাক্ষর না থাকা সত্ত্বেও তার মনোনয়ন বৈধতা পেল, অথচ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও মানিকগঞ্জে বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন বাতিল করা হলো সন্দেহ করে। বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছিল যাচাই-বাছায়ে। দেখা গেল একই ভূলে বিএনপি নেতাদের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বা আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হলো আর আওয়ামীদের মনোনয়ন টিকে রইল। অথচ সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কথা। নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচন কালীন সময়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। জনমনে উত্তর জানার জন্য প্রশ্ন-কাজের সাথে সে প্রতিশ্রুতি আজ কোথায়……….?
আবার মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপিলের ক্ষেত্রে দেখা গেল বিএনপি নেতারা কাগজ নিতে গেলে তাদের দাড়িয়ে রাখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কাগজ দেয় না বা গড়িমসি করে দেরিতে কাগজ দেয়-যাতে কাগজ পাওয়ার পর ঢাকায় গিয়ে সঠিক সময়ে তারা আপিল করতে না পারেন। রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থীর ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ………দেখা গেল অভিযোগ থাকলেও আওয়ামীলীগের কারো মনোনয়ন বাতিল হয়নি। অথচ বিএনপি’র অসংখ্য হেভিয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আর বাতিল করা হয়েছে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীদেরও। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এতো বেশী সংখ্যক মনোনয়ন (বিশেষ করে বিরোধীদের) আগে কখনো বাতিল হয়নি। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে-এই সব ঘটনা কি ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারীর আলামত ? যে ০৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে হু. ম এরশাদকে চিকিৎসার নামে লুকে রেখে, বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে অথর্ব, লজ্জাহীন, মানবতাহীন, কা-জ্ঞানহীন, বিবেকহীন, মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন দ্বারা বিভিন্ন কলা-কৌশল প্রয়োগ করে বিশে^র নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড় ১৫৩ আসনে আগেই জয় নির্ধারণ করে নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ-যেখানে ১৫১ আসন পেলেই ক্ষমতায় থাকা যায়-সেখানে ১৫৩ আসনে জয় আগেই করে নেয় আওয়ামীলীগ। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘অল্প সময়ের মধ্যেই সবাইকে নিয়ে আরো একটি নির্বাচন করা হবে-পরে সে কথা তোলা তো দূরের কথা, বে-মালুম ভূলে যান তিনি।………….এসব দেখে জনগণ ভাবছে….., কিন্তু দুর্বিনীত দুঃশাসনে দমন-পীড়নের স্বীকার হওয়ার ভয়ে কিছু বলতে পারে না……। তবে স্বচ্ছভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ ঠিকই সঠিক দলেই তাদের সমর্থন জানাবে। জনগণ ভাবছে-শাসকের জনসর্মথন একবারে তলানিতে যাওয়ার কারণে তারা (শাসকেরা) ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এসব করছে। কিন্তু এভাবে আর কতোদিন………? এই জনগণ তাদের ভোটে নেতা নির্বাচন করতে চায়-ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় ? ক্ষমতা নিয়ে রক্তপাত বা হানাহানি বা জেল-জুলুমের এ লড়াই দেখতে চায় না। এই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীনরা যেন একর পর এক অপকৌশল, আচরণবিধির লঙ্ঘন করেই যাচ্ছেন……। আর পুলিশ-প্রশাসন দ্বারা ভৌতিক, আজগুবি মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের ধরে ধরে জেলে তুলছেন। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি সংবিধানের মধ্যে থেকেও তাদের কর্মসূচি ও কর্ম দ্বারা যেন পেরে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। তবুও তাদের পথচলা যেন ক্লান্তিহীনভাবে অবিরাম……..বিজয়ী হওয়ার লড়াইয়ে। জনমনে আজ একটা ভাবনা গেঁথে গেছে যে, বিজয়ী হওয়ার লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও এর জোট একের পর এক কৌশল বা অপকৌশল, নিজেদের তৈরী আইনের প্রয়োগ, মামলা-হামলা, জেল-জুলুম, গ্রেফতার-রিমান্ড, অত্যাচার-নির্যাতন, দমন-পীড়ন, দুঃশাসন করেই চলছে বিএনপি’র উপর। আর বিএনপিও যেন উস্কানিতে পা না দিয়ে সর্তক হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক প্রজ্ঞাতার পরিচয় দিয়ে বিজয়ী হওয়ার লড়াইয়ে অবিরাম এগিয়ে চলছে……। জনগণ বিগত সময়ের দিকে লক্ষ্য রেখেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, এই বিএনপি যেন আর কোন ভূলই করছেন না বরং ক্ষমতাসীনদের আপকৌশলও যেন তারা জনসম্মুখে উন্মোষ করতে পারতেছেন। জনগণ ভাবতেছে বিজয়ী হওয়ার এ লড়াই যেন অপকৌশল আর কৌশলের, অপনীতি আর সুনীতির, উস্কানি দেওয়ার বিপরীতে যেন সর্তক-শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার মধ্যে, একের পর এক হিমালয়সম বাধা দেওয়া আর তা মোকাবেলা করে জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে……..? বিজয়ী হওয়ার এ লড়াই যেনো থামছেই না। কে হবেন বিজয়ী ? আসলে জনগণই নির্ধারণ করবে কে হবেন বিজয়ী ? যদি জনগণের মতামতের সুঠিক ও সুষ্ঠ প্রতিফলন ও প্রকাশ ঘটে এবং সর্বোপরি সে পরিবেশ বিদ্যমান থাকে। আর সে পরিবেশের জন্য বিশেষতঃ জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। যদি জনগণের ভোটাধিকারের সঠিক প্রতিফলন ও প্রকাশ না ঘটে তাহলে হয়তো জনগণের এ ভোটাধিকার অথৈই তলে ডুবিয়ে বা হারিয়ে যাবে-আর এ ভোটাধিকার ফিরে আসবে কি-না প্রশ্ন থেকে যাবে ভবিষ্যতে……..।
মো: মিজানুর রহমান-লেখক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট।