Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪শনিবার,০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ  সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার ও গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিমের কয়েক হাজার সমর্থক শনিবার বিকালে এই হামলা চালিয়েছে।

বেলা সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে এসে ঢিল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিক্ষোভ করছে তারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এহছানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, তৈমুর আলম নারায়ণঞ্জ-১ এবং সেলিমুজ্জামান গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।


এ সময় সংবাদ সংগ্রহে ব্বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে আটকা পড়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ জানান, কয়েক হাজার নেতাকর্মী এসে বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে তারা। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়েল জানালার কাঁচ ভেঙেছে।

এই কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুরের আগে দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করেন কারাবন্দি এহছানুল হক মিলনের কর্মী-সমর্থকরা। পরে তারা সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভের কথাও জানান।

চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে না দিয়ে এবার বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে মোশাররফ হোসেনকে।

বিক্ষুব্ধদের একজন আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কচুয়া থেকে মিলনকে চাই। যাকে দেওয়া হয়েছে সে একজন আদম ব্যাপারী। ৩৩ বছর তাকে এলাকায় দেখিনি। এলাকার লোকজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। সে মনোনয়ন পায় কীভাবে?

এবাদুর রহমান নামে আরেকজন অভিযোগ করেনটাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। “এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সরকার ৩৩টি মামলা দিয়েছে। সে তার সব কিছু ত্যাগ করেছে দলের জন্য। কিন্তু তাকে মনোনয়ন না দিয়ে টাকা খেয়ে একজন ভুয়া লোককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এটা মানব না।

মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুও। শুক্রবার বিকালে তার এলাকা মানিকগঞ্জ-১ আসনে এসএ জিন্নাহ কবিরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার পর রাতেই ছোট বোন দেলোয়ারা বেগম পান্নাকে নিয়ে গুলশানের এই কার্যালয়ে আসেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা পেয়ে কেঁদে ফেলেন দুই ভাই-বোন। ডাবলু অনুসারীরা এ সময় হৈ চৈ করেন।