খােলাবাজার২৪,সোমবার,২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। হামালায় এ্যানিসহ তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আজ সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দু-রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সংঘষের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- পুলিশ পরির্দশক মোহাম্মদ মফিজ ও উপ-সহকারী পর্রিদশক রাজ্জাক।
ঐক্যফন্টের প্রার্থী শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জানান, তার পূর্ব র্নিধারিত গনসংযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। হামলায় তিনি সহ তার সাথে থাকা ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি গনসংযোগের আগে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেন নি।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, ধানের শীষের প্রার্থী এ্যানি চৌধুরীর গনসংযোগ থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে যুবলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
উভয় দলের আহতরা হলেন- ঐক্যফন্টের লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের প্রার্থী শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আদনান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শিমুল, নিজাম, রাকিব হোসেন, রাফিউল ইসলাম, গালিব, পারভেজ, ফরহাদ, কাদের, সোহেল। কুশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জুয়েল, রাসেল, আরিফ, সিরাজ, আরিফ, পুলিশের ইন্সেপেক্টর মফিজুল ইসলাম, এসআই আব্দুর রাজ্জাক।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আবুল কালাম আজাদ জানান, আওয়ামী লীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।