খােলাবাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮: সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি আপনি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে আমাদের সাফ বলে দেন। আমরা আজই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেব।
বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১০ নেতা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
বেঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে ‘অশোভন’ আচরণ করায় তারা বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন।
পরে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সিইসির সঙ্গে তাদের ওই বৈঠকের বর্ণনা দেন।
বৈঠকে ড. আব্দুল মঈন খান সিইসিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন বলে সাংবাদিকদের জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন— সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার, লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ও তার জোটের শরিকরা নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভাষ্যে, ‘কামাল হোসেন বলেন, আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদেরতো সেভ (রক্ষা) করতে হবে। এ সময় হঠাৎ করেই সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কি এমন হয়ে গেছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল, জানোয়ার বলেছেন? নিজেকে কী মনে করেন?’
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে সিইসি কেএম নূরুল হুদা ছাড়াও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।