খােলাবাজার২৪,শুক্রবার,২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে একপক্ষীয় প্রচারণায় ভোটের মাঠে ছিল গুমোট হাওয়া। ইসির ব্যর্থতা, আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব আচরণ, গ্রেফতার, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা-ভয়ভীতি প্রদর্শনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক উদ্বেগ বিরাজমান।
এমনকি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের বাসায় বাসায় গভীর রাতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো এবং ভোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ার প্রস্তাব, গেলে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার নির্দেশে ভোট দিতে যাবেন কিনা তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সংশয় ছিল। ভোট দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে কর্মজীবী মানুষ রাজধানী ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন এখন।
কয়েকদিনের পরিচিত এই দৃশ্য পাল্টাতে শুরু করেছে গতকাল কিছু কিছু এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়ী দেখার পর থেকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের অনেক এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়ী দেখা গেছে।
তারা নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে ঝামেলা হলেই ফোন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টহলরত সেনা সদস্যরা মানুষকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন এবং অভয় বাণী শোনাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভোট দিতে যাবেন নির্ভয়ে।
কেউ আপনাদের ক্ষতি করতে পারবে না। ভয়ভীতি দেখালে ফোন করবেন সঙ্গে সঙ্গে আমরা এসে ব্যবস্থা নেব। বেশ কয়েকটি এলাকায় খবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানী ঢাকায় গতকাল দেখা গেছে অন্যরকম দৃশ্য। ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করা হলেও বৃহস্পতিবার সেনা সদস্যদের দেখা গেছে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়। সেনা বাহিনীর গাড়ী দেখে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে এখন ভোট দিতে পারবো।
ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দেখা গেছে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা। কিন্তু নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা এতোদিন ফ্রি স্টাইলে যে প্রচার প্রচারণা, এলাকার বিএনপির প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শন কিছুটা স্থমিত হয়েছে।