খােলাবাজার২৪,শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ঃ‘বোন আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোনও ভয় নেই। বোন, এই নিমর্মতার অবশ্যই একদিন বিচার হবে। আল্লাহ এর বিচার করবেন।’ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের গণধর্ষণের শিকার পারুলের মাথায় হাত বুলানোর সময় কাঁদতে কাঁদতে এমনটাই বলছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা শনিবার (০৫ জানুয়ারি) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গণধর্ষণের শিকার পারুলকে দেখতে যান। এ সময় মির্জা ফখরুল পারুলের মাথায় হাত বুলিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদেরও অশ্রুসজল হয়ে পড়তে দেখা যায়। পারুলের কান্নার সাথে তার স্বামী সিএনজি চালকও বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে। এরপর জেএসডির আসম আবদুর রব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও পারুলের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দেন।
পারুল বেগমের পরিবার ও ঔক্যফ্রন্টের নেতাদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
পরে বিএনপি মহাসচিব, আসম আবদুর রব, কাদের সিদ্দিকী পারুলকে আর্থিক অনুদান দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পারুলের স্বামী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। জেনারেল হাসপাতালের ০৯ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পারুল।
পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে আওয়ামী লীগ মানুষকে বঞ্চিত করেছে তাদের প্রতারিত করেছে। এই বঞ্চিত করার পরে যেহেতু তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য তারা এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরবর্তিতে যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এমনকি আমার বোন নোয়াখালীতে ধর্ষিতা পর্যন্ত হয়েছেন চার সন্তানে মা তিনি। আমরা এর ধিক্কার জানাচ্ছি, তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জনগণের কাছে এর বিচার দিচ্ছি।’