Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ঃকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক কিশোরী ফেলানী হত্যা ট্র্যাজেডির ৮ বছরপূর্তী আজ ৭ জানুয়ারি, সোমবার।

হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও ফেলানীর রুহের মাগফেরাতে সোমবার বাদ জোহর অয়োজন করা হযেছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর উপজেলার দক্ষিণ রামখানা কলোনীটারীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন ফেলানীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, কোথাও থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় সাদামাটাভাবে এবার ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি এই দিনে ভারতের আসাম রাজ্যের বনগাইগাঁও এলাকা থেকে বাবা নুর ইসলামসহ কিশোরী ফেলানী নিজ বাড়ি বাংলাদেশে আসার সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তের ৯৪৭/৩এস আন্তর্জাতিক পিলারের পাশে ভারতীয় খেতাবেরকুটি সীমান্তে চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে পাশবিক নির্যাতন ও পরে পাখি শিকারের মতো গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে

এ সময় বিএসএফ ফেলানীকে হত্যা করার পরও ক্ষান্ত হয়নি। তারা মৃতদেহকে দীর্ঘ সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।

বিশ্ব আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনও ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। হত্যাকারী অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে দু’দফায় বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত।

পরবর্তীতে ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করলেও সেটি বর্তমানে বিচারাধীন।

নুর ইসলাম জানান, বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্নাভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করি।

তিনি বলেন, আমি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কাছে মেয়ে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার আশা করছি। পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছে ফেলানী হত্যার ক্ষতিপূরণও দাবি করছি।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম জানান, আমার মেয়ে ফেলানীকে বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু এখনও আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার পেলাম না।

তিনি মেয়ে ফেলানীর হত্যাকারী বিএসএফের বিচার দাবি জানিয়ে বলেন, হত্যাকারীর ফাঁসি হলে ফেলানী তার আত্মার শান্তি পাবে।