খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ১১জানুয়ারি ২০১৯,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর জেলায় বিএনপির শতাধীক নেতাকর্মী গায়েবী মামলায় কারাগারে।
এদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এলিজা জামান, পিরোজপুর মঠবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল,দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লাহেল মাহমুদ, নেছারাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ শাহীন মিয়া, নেছারাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, টিটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল মৃধা, উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ রিপন মিয়া, আঃ রাজ্জাক হাজী, জেলা ছাত্রদলে সহ-সভাপতি ইমরান আহম্মেদ সজিব, জেলা ছাত্রনেতা আলী আহম্মেদ তুষার, জেলা ছাত্রনেতা মোঃ মিজান শেখ, মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক তাহসীন জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক রনী মুন্সি, নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ লায়েক, উপজেলা ছাত্রনেতা মোঃ রিয়াজ, মোঃ সোহেল, উপজেলা যুবনেতা গোলাম কিবরিয়া, মোঃ সুমন মিয়া সহ আরো অনেকেই।
এ বিষয় জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের জেলায় এই পর্যন্ত বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের প্রায় শতাধীক নেতাকর্মীদের নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মিথ্যা মামলা ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার-নির্যাতনের ঘটনার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
এতে সাধারন মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পুলিশকে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের চেয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে, এতে করে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
তিনি আরো বলেন, গায়েবী মামলার বাদি ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আতংকে রয়েছেন। ওই কর্মকর্তারা বুঝতে পারছেন যে তাদের দিয়ে অন্যায় ও মিথ্যা কাজ করানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের যেভাবে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হচ্ছে এতে করে অতিতের সব রেকর্ড ভংঙ্গ করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, যারা আইন প্রয়োগ করবেন তাদের দিয়ে অন্যায় কাজ করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন গন গ্রেফতার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।