তিনি বলেছেন, ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো বক্তব্য না দিয়ে বিএনপির উচিত নিজেদের বিচার করা। দলটি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব তুলে ধরেন। তাদের উচিত নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবির কারণ বিশ্লেষণ করা। দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক এটি আমরাও চাই।’
সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনাব রিজভী তার গতকালের বক্তব্যে যে বিষোদ্গার করেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা অসংলগ্ন বক্তব্য। বরাবরের মতো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে তারা।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনে আটশ প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি তাদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণাতেও নামেননি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা। একজন্যই তারা তিনশো আসনে আটশো প্রার্থী দিয়েছিল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতো শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আগে হয়নি। একজন পুলিশও আহত হয়নি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মোবাইল, অনুষ্ঠানাদি, পথপ্রচার ও গণমাধ্যমে পাঁচ পদ্ধতির প্রচারণা চালিয়েছি। পক্ষান্তরে বিএনপি কোনোটিই করেননি। এমনকি পোস্টারও লাগায়নি।’
এসময় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার গঠিত হবার পর নতুন কমিটি দিয়েই কাজ করতে হবে। নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নবম ওয়েজ বোর্ড বিষয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।’
সেতুমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটি দ্রুত ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে বলেও জানান ড. হাছান।