Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ঃ  বিশেষ প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮/০২/১৯৬২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তাঁর পিতা মোঃ আব্দুল খালেক শেখ একজন  বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বরেণ্য রাজনীতিবিদ। এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সিনিয়র এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট (আপীল বিভাগ), আইন বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সাবেক সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তিনি কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।  তিনি ১৯৭৭ সালে বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এস এস সি, ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি, ১৯৮৩ সালে এলএল.বি ডিগ্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এস.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১/১১ পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী সময় থেকেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরম্নদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মুলক সকল মিথ্যা মামলার অন্যতম আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ জজ আদালতে অন্যতম আইনজীবী হিসাবে নিয়মিত অংশ গ্রহণ ও সুপ্রীমকোর্টে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল মামলায় অন্যতম আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জেল হত্যা মামলায় জাতীয় ৪ নেতার পরিবারের আবেদন ক্রমে সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত অন্যতম আইনজীবী হিসাবে হাইকোর্টে জেল হত্যা মামলা পরিচালনা করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের অন্যতম আইনজীবী হিসাবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে উক্ত মামলা পরিচালনা করেন।

এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ছাত্র অবস্থায় থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে একনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তারের পরে তাকে আইনী সহায়তা দানের জন্য সর্বপ্রথম জননেত্রী শেখ হাসিনার সহিত সাক্ষাতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট লিখিত অনুমতি প্রার্থনা করেন। এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরম্নদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও হয়রানী বিষয়ে ১৭/১০/২০০৭ তারিখে হাউস অব কমন্সে গেষ্ট হিসাবে উপস্থিত হয়ে দায়ের করার মামলার ভিত্তিহীনতা তুলে ধরেন। তিনি, দৌলতপুর কলেজের সাবেক ভি.পি, সাবেক সহ-সভাপতি, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্য নির্বাহী কমিটি (১৯৯০ সন থেকে অদ্যাবধি), সদস্য, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাস্থ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন।

এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ছিল সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা তিনিকর্মজীবনের শুরুতে সাংবাদিক ছিলেন, এক সময় তিনি সন্দ্বীপ নামের একটি পত্রিকায় কাজ শুরু করেছেন। এরপর ভোরের কাগজ ও দৈনিক প্রথম আলোতে কাজ করেছেন।পরে তিনি  সাধারণ সম্পাদক, পিরোজপুর জেলা সমিতি  ঢাকা, সভাপতি, সুপ্রীম কোর্ট রিপোর্টারস এসোসিয়েশন, সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার আইনজীবী লীগ, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত আইনজীবী সাংস্কৃতিক সংসদ এর সভাপতি।

তিনি মানবাধিকার ও আইনী সেবামূলক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসাবে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন, শেখ রাসেল স্মৃতি পদক, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ পদক, অতিশ দিপঙ্কর স্বর্ন পদক; ইউনেস্কো ক্লাব পদক, আইন ও মানবাধিকারে লালন পত্র পদক-২০১১, শের-ই-বাংলা জাতীয় স্মৃতি পদক এবং মানবাধিকার পদক সহ ১৪ টি পদক লাভ করেন। এবং এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বঙ্গবন্ধু উপরে বই লিখেন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব, ইতিহাসের দায় মুক্তি। (মানবতা বিরোধী শীর্ষ অপরাধীদের ফাসির রায় সংকলিত)দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।

এছাড়া, তিনি জাতীয় ও সামাজিক বিষয়ে নিয়মিত আলোচক হিসাবে টেলিভিশনে টকশো, বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণসহ, সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম প্রকাশের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক,  সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।

প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েই মন্ত্রীত্ব পেলেন এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এবং ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের  শপথ গ্রহন করেন।

শপথ গ্রহনের পরথেকেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামকে শহর করার যে ঘোষণা ইশতেহারে দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে বলে ঘোষণা দেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তা অবশ্যই হবে আইনের মধ্যে থেকেই।সচিবালয়ে নিজ দফতরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি পর্বের আগে তিনি একথা বলেন।

দুর্নীতির কোনো অভিযোগের সারবস্তু থাকলে তার সমাধানই শুধু না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে তা অবশ্যই হবে আইনের মধ্য থেকে।

অপ্রিয় হলেও সত্য, এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গণঅভিযোগ রয়েছে। আমরা কেনো আরো গতিশীল হতে পারলাম না, কেনো আরো স্বচ্ছ হতে পারলাম না, আরো বেশি মানুষের কেনো প্রয়োজন মেটাতে পারলাম না।

আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করবো। তাছাড়া আমার আগে যিনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তার ঐতিহ্য ধারণ করে আরো উত্তর উত্তর সমৃদ্ধ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) বেদখল সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে। এ সংস্থার জমি বা সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সব ধরনের প্রভাব-প্রতিপত্তি উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় এ সম্পদ রক্ষা করা হবে। এজন্য সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, সাধারণত বিত্তবৈভবের মালিক ও প্রভাবশালীরা সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে থাকে। এজন্য প্রয়োজনে তারা আদালতের আশ্রয়সহ নানা কৌশল গ্রহণ করে। এসব অবৈধ দখলদার আদালতের আশ্রয় নিলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞ, দক্ষ ও বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেয়া হবে। বিদ্যমান মামলা নিষ্পত্তির জন্যও এসব বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা হবে। কথিত প্রভাবশালীদের অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করতে হলে কর্মক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে কাজের গতিশীলতা আরও বাড়াতে হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, রাজউকের আইন ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সেবা প্রদানে সবাই তৎপর হতে হবে। কারো রাজনৈতিক বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠানের কাজের সঙ্গে মেলানো যাবে না। কোন বিষয়ে অনিয়ম বা গাফিলতির অভিযোগ এলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেবা প্রত্যাশীদের যে অনাকাঙ্খিত বিলম্বের শিকার হতে হয় তা দূর করতে হবে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে এবং আরো গতিশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজউকে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন। তাই কাজে স্থবিরতা, দুর্নীতি বা অনিয়ম কোনভাবেই কাম্য নয়। মুষ্টিমেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম বা দুর্নীতির কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে খাটো হয়। এ দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ততটা সুখকর নয় এ ধারণার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ জন্য কাজের অগ্রগতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রয়োজন। যথাসময়ে ফাইল ছেড়ে দেওয়া, অযথা কাউকে হয়রানি না করা এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখলে রাজউক সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলাবে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, রাজউকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধভাবে টাকা আয় করেন না। তারপরও ধানের সঙ্গে চিটা থাকে। রাজউকে চিটাও থাকতে পারবে না। যার বিরুদ্ধে কাজে অবহেলা ও দুর্নীতির ঘ্রাণ পাওয়া যাবে, তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

পূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকের অধিকাংশ কর্মকর্তাই সৎ। কিছু কর্মকর্তার কারণে মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে খারাপ ধারণা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফাইল আটকে রাখা কিংবা প্লট-সংক্রান্ত নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে সব অভিযোগ সত্য নয়। আমার কথা হলো, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকবে কেন?

মন্ত্রী রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। রাজউকের আটটি জোনের মধ্যে দুটিতে নকশা অনুমোদনে অনলাইন ব্যবস্থা চালু আছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আটটি জোনেই এ সুবিধা চালু করা হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, সাংবিধানিকভাবেই আবাসন মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং তার অধীনস্ত সংস্থাগুলোর। তাই মন্ত্রণালয় বা সংস্থাগুলোতে জনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এখানে এসে জনগণ যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ভূমি বা ফ্ল্যাটের নামজারিতে যাতে কেউ কষ্ট না পায়, বা অহেতুক কালক্ষেপনের শিকার না হয়- সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার টিম লিডার প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করেন না, পছন্দও করেন না। তার দলের সদস্য হিসেবে আমার জিরো টলারেন্স অবস্থান থাকবে।