টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে রংপুর। শুরুতে হাসিটা ছিল চিটাগংয়েরই। মাত্র ২ রান করে আবু জায়েদের শিকার হয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তবে চিটাগংয়ের হাসি দুঃখে পরিণত হতে সময় নেয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৭৮ বলে ১৭৬ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন হেলস আর রুশো।
মারধাক্কা ব্যাটিংয়ে ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে এসে সেঞ্চুরি পূরণ করেন হেলস। সেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরের বলেই সিকান্দার রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন রংপুরের এই ওপেনার। ৪৮ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় কাটায় কাটায় ১০০ রান করেন তিনি।
গেইলের মতো আরেক বিদেশি এবি ডি ভিলিয়ার্সও আজ ফ্লপ হয়েছেন। ১ রানেই তাকে খালিদ আহমেদের ক্যাচ বানান আবু জায়েদ রাহি। মোহাম্মদ মিঠুনও ১৫ রানের বেশি যেতে পারেননি।
অন্যদিকে, রুশো ৫১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি, যে ইনিংসটি প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান সাজান ৮ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল ইসলাম।
দুই বিদেশি অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো জোড়া সেঞ্চুরিতে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে ২৩৯ রান করে থামে।
পাহাড়সম রান তারা করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানে ফেরেন চিটাগংয়ের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও সিকান্দার রাজা। শেহজাদকে বোল্ড করেন ফরহাদ রেজা। তার আগে ১২ বলে ২০ রান করেন তিনি। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ভাইকিংসের জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাকে একই কায়দায় আউট করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
৩৩ রানে শেহজাদ-সিকান্দারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া চিটাগংকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১১ বলে তিন ছক্কায় ২২ রান করা মুশফিক বিভ্রান্ত নাজমুল ইসলাম অপুর অফ স্পিনে। এরপর ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস।
৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। দলের কঠিন পরিস্থিতে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করছেন ওপেনার ইয়াসীর আলী। পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ইয়াসির ফেরেন ৪৮ বলে ৭৮ রান করে।