খােলাবাজার২৪,শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ঃ বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার ৭.৫% প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হার ভাঙা পরিশ্রম করছে।একজন প্রবাসী গড়ে পরিবারের ৫ জন সদস্যের ভরন পোষন করে, যা মোট জনসংখ্যার ২৫ ভাগ। প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে নবম। বিদেশের মাটিতে অদক্ষ শ্রমিক বেশি আসার কারণে বেশির ভাগ বাংলাদেশিরা সব ধরনের কষ্টের কাজ গুলি করে (রাস্তা ক্লিনার, নির্মাণ শ্রমিক)।
তারপরেও দেশের পরিবার পরিজন এর মুখে হাসি ফুটানের কথা চিন্তা করে সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে আসছে, প্রবাসীরা জোগান দিচ্ছে বাংলাদশের ১২ শতাংশ জিডিপি। এক কথায় অভিবাসীদের ঘামের টাকায় সচল আছে দেশের অর্থনীতি।বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প পদ্মা সেতু ও দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। মন্ত্রী এমপি সহ আমলাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধার সিংহ ভাগ আসে প্রবাসিদের পাঠান রেমিটেন্স থেকে।
এবার মূল কথায় আসি, গত কাল ছাগলনাইয়া থানার ও.সি জনাব মুর্শিদ, যে হয়ত প্রবাসীদের পয়সার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে স্কুলের কোমল মতিদের শিক্ষা দিলেন প্রবাসীদের বিয়ে করবানা, যার একটি মাত্র বক্তব্য আহত করছে বাংলাদেশের ১ কোটি ২০ লক্ষ প্রবাসীদের, আমি বিশ্বাস করি সারা বিশ্বের প্রবাসীরা দল মতের উর্ধে থেকে আমরা একটি পরিবার।
পুলিশের ওসি কেন কার রক্তচক্ষু আমরা ভয় পাইনা, আমরা প্রবাসীরা পুলিশ ভাইদের অনেক সম্মান করি, কিন্তু পুলিশ ভাইদের এত আক্ষেপ কেন প্রবাসীদের উপর? আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হয় এয়ারপোর্ট পুলিশ থেকে শুরু করে পদে পদে। আমরা ঘুষ খাইনা, আমাদের রক্ত পানি করা পয়সায় সচল দেশের অর্থনীতি।
আমরা বহিবিশ্বে পুলিশ দেখলে সাহস পাই আর বাংলাদেশ পুলিশ আমাদের জন্য এক আতংকের নাম। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, সরাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা পুলিশের ট্রেনিং এর সাথে মানবিকতা শিক্ষা যোগ করুন যাতে পুলিশ বাহিনী ট্রেনিং সময় শিক্ষে আসতে পারে। পুলিশ হোক জনগণের বন্ধু আতংক না।
১ কোটি ২০ লক্ষ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই আমরা কিছুই চাইনা একটু মানবিক হন আমাদের সাথে আমরাতো কারো অনিষ্ট করিনা , পাকা ধানে মই দেইনা। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলব, সকল যৌক্তিক দাবিতে একসাথে আমরা কাজ করি, আমরা দেশের সূর্য সন্তান, রুখবে আমাদের কে ? পরিশেষে সকল বিবেকবান মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন থেকে গেল, প্রবাসীরা দেশের জন্য শুধু দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু কি পাচ্ছে তারা দেশের থেকে ?
মু. তরিকুল ইসলাম (তারেক) প্রচার সম্পাদক – সৌদি আরব আওয়ামীলীগ -পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ,দাম্মাম