শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দোয়েল চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহরা হলেন- আমিনুল ইসলাম (২১), আজিজুল (২০), তুষার (২০) নয়ন (২১) ও আজিম (২১)। এর মধ্যে আমিনুল ইসলামের আঘাত কিছুটা গুরুতর। মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি।
এদিকে ছাত্রলীগের ওই ঘটনার পর দোয়েল চত্বর এলাকায় থাকা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন আশপাশের পথচারীরা। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের সমাবেশ পরবর্তী র্যালিতে সবার সামনের সারিতে ছিলেন বিভিন্ন হলের মেয়েরা। এরপর ছিলেন জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্রের তথ্য, র্যালিতে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজার অতিক্রম করার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
একপর্যায়ে এক পক্ষ অন্যপক্ষের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে জহুরুল হক হলের সঙ্গে যোগ দেয় সূর্যসেন হল ও এসএম হল। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে হাইকোর্ট মোড়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হল পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘র্যালিতে অংশ নেয়া কর্মীদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। সিনিয়র নেতারা সব সামলে নিয়েছেন।’