প্রহসনের নির্বাচন করে, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা পেতে সবাইকে চা চক্রের নিমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সরকার এখন নানা কৌশলে নিজেদের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের এই আলোচনায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়েই কোকোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেরাই নিজেদের ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন সেই অবৈধতার গ্রহণযোগ্যতা পেতে চায় তারা।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে তারা ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তারা কীভাবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। এটাই সারাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে।
মঈন খান বলেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গত ১০ বছরের যে নির্যাতন, মামলা আর গুমের ঘটনা ঘটেছে তা নজিরবিহীন। এই নির্বাচনে যাদেরকে জয়ী দেখানো হয়েছে তারা জয়ী হয়েছে আর যাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে তারা পরাজিত হয়েছে। এটা শুধু ভোট কারচুপির মাধ্যমে নয়, এটা করা হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে যে কী ভয়াবহ তাণ্ডব হবে, এই চিন্তা করে এখন মানুষ অস্থির হয়ে আছে। আমাদের অনেক বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন আমাদেরকে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন যদি হয়, সেই নির্বাচনের আগেভাগেই, অন্তত ১৫ দিন আগে থেকেই আমরা বাসাবাড়ি ত্যাগ করব। ভোট তো দূরে থাকুক, ভোটের এলাকার মধ্যেও আমরা থাকতে চাই না। কারণ নির্বাচনটি হবে একতরফা।
দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে তা পুনরুদ্ধারে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাবে বলে উল্লেখ করেন দলটির নেতারা।