সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৩৭ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলে কুমিল্লা।
২৩৮ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভার ব্যাট করে খুলনার ইনিংস থামে ১৫৭ রানে। দলের পক্ষে অপেনার ব্র্যান্ডন টেইলর সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন।
এছাড়া জুনায়েদ সিদ্দিকী ২৭, কার্লোস ব্রাথওয়েট ২২, শান্ত ১৪, মালান ১৩, মাহমুদউল্লাহ ১১, ওয়াইস ৮, আরিফুল হক ২ ও তাইজুল ১ রান করেন।
কুমিল্লার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই স্বদেশি ওয়াহাব রিয়াজ ও শহীদ আফ্রিদি। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান ও তিসারা পেরেরা নেন ১টি করে উইকেট। ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে ওয়াহাব হ্যাটট্রিক করেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ভালো শুরু এনে দেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও চোট কাটিয়ে ফেরা এভিন লুইস। ২৯ বলে ২৫ রান করে দলীয় ৫৮ রানে তামিম বিদায় নিলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন লুইস। যদিও তামিমের বিদায়ের পরপর এনামুল হক বিজয়কে হারানো সুখকর ছিল না তার জন্য।
২ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় আসরের শিরোপাজয়ীরা একটু চাপে পড়ে গেলে লুইসকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
ইমরুলের সমর্থন পেয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করেন লুইস। ২১ বলে ৩৯ রান করে ইমরুল বিদায় নিলে লুইসের সাথে ব্যাট হাতে সঙ্গ দিয়েছেন শামসুর রহমান শুভরা। লুইস তুলে নেন দুর্দান্ত এক শতক। ৪৯ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ১০টি ছক্কা।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারানো কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৭ রান।
খুলনার পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট দুটি করে উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভার বল করে ৫৯ রান বিলি করে এদিন সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন খুলনার পেসার সাদ্দাম হোসেন।
১০টি ছক্কা ও ৪টি চারের মারে ৪৯ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন এভিন লুইস।