Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

‘গরিব বলে কি বিচার পামু না?’

খােলাবাজার২৪,সোমবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ঃ পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে দুই বছরের শিশু আয়শা‌ হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে আয়েশার মা সুলতানা রাজিয়া হত্যার ঘটনায় নাহিদের বিচার দাবি করেন।

সুলতানা রাজিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেন, গরিব বলে কি আমার মেয়ের হত্যার বিচার পামু না? আমার দুধের শিশুরে মাইরা ফেলসে নাহিদ। আমার মাইয়াটা হাটতেও পারতো না, তারে মাইরা ফেলসে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, দীননাথ সেন রোডের ৫৩/১/ছ নম্বর চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা। প্রতিদিন সকালে তার মা-বাবা কাজে যান। গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনে গলিতে খেলে বেড়াত শিশুটি। অন্যান্য দিনের মতো ৫ জানুয়ারি বিকেলে খেলতে বের হয় সে। সন্ধ্যার দিকে চারতলা ভবনের সামনে আয়েশার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি আয়েশার বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ৭ জানুয়ারি দুপুরে গেন্ডারিয়া থানা ঘেরাও করে। পরে বিকেলে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ আসামি নাহিদকে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি নাহিদ জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আয়েশার মামা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, আয়েশাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেন নাহিদ। তিনি ভবনের তিনতলায় থাকেন। আয়েশা বিকালে যখন খেলছিল, তখন তাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান নাহিদ। সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। সন্ধ্যার দিকে ফ্ল্যাটের খোলা বারান্দা থেকে আয়েশাকে নিচে ফেলে দেন নাহিদ। এ সময় আয়েশার চিৎকার আশপাশের লোকজনও শোনে। আয়েশাকে নিচে ফেলার শব্দ বাড়ির পাশের মাঠ থেকে কয়েকজন যুবক শুনতে পান। এলাকার লোকজন এসে আয়েশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।