সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়।
এদিন দুপুরে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলার রায়ে স্বাক্ষর করার পরই রায়টি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট ওই রায় দেয়।
এছাড়া এ মামলায় কারাবন্দি অপর দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ফলে তাদেরকে নিম্ন আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল থাকে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি পেয়ে এখন আমরা আপিল বিভাগে যাবো। আপিল বিভাগেই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা অনুদানের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
বিচার শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। এর পর থেকেই তিনি কারাভোগ করছেন।
দুর্নীতি মামলার এই রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া রায়ে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সম-অঙ্কে প্রদানের কথা বলা হয়।