বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে জনসভারও ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ২৯৮ আসনের মধ্যে পেয়েছে ২৮৯টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগই পেয়েছে ২৫৯টি, জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি, ওয়ার্কার্স পাটি ৩টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ২টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হন। মাত্র ৭টি আসনে জয় পেয়েছে বিএনপির প্রার্থীরা (এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গণফোরামের মোহাম্মদ মনসুর এবং গণফোরাম নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে মোকাব্বির খান নির্বাচিত হয়েছেন)।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করে। তাদের অভিযোগ- পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম জালিয়াতি হয়েছে এই নির্বাচনে। নির্বাচেনর আগের রাতেই সব কেন্দ্রে ভোটে সিল মেরে বাক্স ভরে রাখা হয়েছে, কেন্দ্র বিরোধীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল, জালভোটের মহাউৎসব চলেছে, প্রার্থীর ওপর প্রকাশ্যে হামলা করা হয়েছে, ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন চালানো হয়েছে।
শুধু বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই নির্বাচনের অংশ নেয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ধর্মীয় ও সমমনা এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বামপন্থী সমমনা দলগুলো বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেছে।