বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) আসন্ন অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয় কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আনা যাবে না।’
বই যাচাই-বাছাই করার জন্য বাংলা একাডেমির একটা ডেডিকেটেড টিম কাজ করবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এমন বই যারা মেলায় আনবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘লেখক-প্রকাশক-ব্লগাররদের মধ্যে যদি কেউ বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করেন তাহলে পুলিশকে অবহিত করলে তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বইমেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।’
রাজধানীতে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ চলার কারণে রাস্তায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বইমেলার কারণে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, ‘মেলার ভেতর ও চারপাশের এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। চারপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ গেট থাকবে ৩টি ও বাহির গেটও থাকবে ৩টি। অন্যদিকে বাংলা একাডেমিতে প্রবেশ গেট থাকবে ২টি ও বাহির গেট থাকবে ১টি। প্রত্যকে গেটেই আর্চওয়েতে সবাইকে চেক করা হবে। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য থাকবে ফিডিং বুথ।’
বইমেলায় জঙ্গি তৎপড়তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে আমরা জঙ্গিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। বইমেলায় কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।’
গ্রন্থমেলা ১লা থেকে ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।