Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
জবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত তিন, উস্কানি প্রক্টরের

খােলাবাজার ২৪, শুক্রবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রুটিন মারামারির অংশ হিসেবে রাতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাতের আধারে একই সাথে তিন শিক্ষার্থীর উপর যৌথ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ তিন শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আ স ম আইয়ুব তুহিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান নয়ন ও রিফাত। তুহিনের মাথায় ৩০টি সেলায় দেয়া হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টিএসসিতে প্রেম নিয়ে বিরোধে আইয়ুব তুহিনের ওপর অর্থনীতি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান মুন, ১৩ ব্যাচের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রিফাতসহ কয়েকজন লোহার রড ও রেঞ্জ দিয়ে মারধর করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তুহিনকে পুরান ঢাকার সুমনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে তুহিনকে হাসপাতালে রেখে ক্যাম্পাসে ফেরার পরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান নয়ন ও রিফাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পিটিয়ে জখন করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শরা জানান, ইংরেজি বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল হাসান এর নেতৃত্বে ১০ ব্যাচের তৌফিক এলাহি ও নাদিম লোহার রড দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আহতাবস্থায় নয়ন ও রিফাত প্রথমে সুমনা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। এদিকে এ ঘটনার পর জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীরা রাতে ক্যাম্পাসে  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, মুন ছাত্রলীগের কেউ না। সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তাকে ছয় মাস আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মিশনে মানা করা হয়েছে।

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি। এ  বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ক্যাম্পাসে তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, প্রক্টরের নিয়মিত এমন বক্তব্যকে উস্কানি হিসেবে দেখছেন ছাত্র শিক্ষকসহ অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কাজে সহায়তাকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটা এখন জবি ছাত্রলীগের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে উঠেছে। যেখানে নিয়মিত উস্কানি হিসেবে আছে জবি প্রক্টরের উস্কানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বক্তব্য। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবেন এমন বক্তব্য ছাত্রলীগের উদ্ভটকর্মীদের সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর নির্যাতনে নিয়মিত উস্কানি দেয় বলে মন্তব্য করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নেতা বলেন, জবি প্রক্টর আগে থেকে গা বাঁচিয়ে চলেন। নিজের কোনো এক দুর্বলতার কারণে ছাত্রলীগের কিংবা বিশ্ববিদ্যালের বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো রকম পদক্ষেপে যেতে পারেন না। তার উপর তিনি আবার নতুন করে জবি শিক্ষক সম‌িতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।