Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

১৬ জাহাজ ও শতকোটি টাকার মালিক হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী!

খােলাবাজার ২৪, রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ মাত্র ১৫ বছরে শতকোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন রাজধানীর মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (হিসাবরক্ষক) লিয়াকত হোসেন জুয়েল।

গত ৩১ জানুয়ারি সম্পদের হিসাবের বিষয়ে লিয়াকতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় শ্রেণির এ কর্মচারীর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনদের নামে রয়েছে ১৬টি ছোট কার্গো জাহাজ।

এ ছাড়া আধুনিক মডেলের তিনটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করছে লিয়াকতের পরিবার।

২০০৩ সালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে হিসাব সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন লিয়াকত হোসেন।

এর পরই এসব সম্পদের মালিক হয় লিয়াকত, তার স্ত্রী লাকি আক্তার চৌধুরী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

দুদক সূত্রে তৃতীয় শ্রেণির এ কর্মচারীর যেসব সম্পদ রয়েছে-

* ১৬টি ছোট কার্গো জাহাজ ও আধুনিক মডেলের তিনটি প্রাইভেটকার।

* শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরে ২৪ কাঠা জমিতে রয়েছে তার বাগানবাড়ি।
* ফরিদপুর সদরের টেপাখোলার লক্ষ্মীপুর এলাকায় লিয়াকতের স্ত্রী লাকির নামে রয়েছে একটি প্রাসাদতুল্য বাড়ি।

* একই এলাকায় ‘মাহি মাহাদ ভিলা’ নামে রয়েছে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি, যেখানে লিয়াকতের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা থাকছেন।

* ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকায় লিয়াকতের স্ত্রীর নামে রয়েছে পাঁচ কাঠার আবাসিক প্লট।

* গোলডাঙ্গীরচরে এল অ্যান্ড এমএম নামে রয়েছে একটি ইটভাটা, যার মালিক লিয়াকত।

* তার বড় বোন নাসরিন আক্তারের নামেও নাজিরপুরে এঅ্যান্ডআর ব্রিকস নামে আরেকটি ইটভাটা রয়েছে।

* সিঅ্যান্ডবি ঘাটের বাজারে রয়েছে ১৭ শতাংশ জমি ও একটি দোতলা ভবন।

* শহরতলির আদমপুর এলাকার বেরহমপুর মৌজায় ১৭ বিঘা জমি রয়েছে স্ত্রীর নামে।

এসব সম্পত্তির বিষয়ে ৩১ জানুয়ারি ঢাকার দুদক অফিসে লিয়াকতের পরিবারকে তলব করা হয়েছে বলে জানান লিয়াকত হোসেন জুয়েলের ভাই বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, দুদক কার্যালয়ে আমাদের পরিবার ও সম্পত্তির বিভিন্ন তথ্য দিয়েছি আমরা।

ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের (দুপ্রক) সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান বলেন, একজন হিসাবরক্ষক হয়ে লিয়াকত হোসেন জুয়েল এত সম্পদের মালিক কীভাবে হলেন তা বের করে আনতে কাজ করছে দুদক।

এর আগে গত মাসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের নামে ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

তদন্ত শেষে দুদক আবজাল ও তার স্ত্রীর ২৫টি বাড়ি-প্লট ও জমি জব্দ করে।