গণভবনে চা-চক্রের আয়োজন ‘বিবেকহীন আনন্দের আয়োজন’ বিএনপির এ মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে নেতিবাচক রাজনীতিতে গভীর খাদের কিনা রায় চলে এসেছে বিএনপি। বেসামাল ও বেপরোয়া হয়ে তারা যখন যা খুশি তাই বলছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই শুধু নির্বাচনকে বিতর্ক করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কে, কি বললো এটা নিয়ে আমাদের কিছু আসে যায় না। এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া কিছু না।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে কোনো প্রশ্ন নেই। দুনিয়ায় সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ বলছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই, কোথাও কোনো বিতর্ক নেই। দেশের জনগণের মাঝে কোনো বিরুপ সমালোচনা নেই।
আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেপরোয়া হয়ে দলটি অসংলগ্ন প্রলাপ বকছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি হচ্ছে আইনগত। আইনগত ভাবেই তাকে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন করে বিএনপি বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে এটা দেশের জনগণ আর বিশ্বাস করে না। তাদের আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন গর্জনে সার। এর কোনো আবেদন নেই।
ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলছে বিএনপি এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে। এটা তাদের স্বভাব সুলভ অভিযোগ। যে কোনে নির্বাচনে রেজাল্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের অভিযোগ থাকে।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৫-১৮ জন দরখাস্ত করেছে। তারা তাদের সিভি সহ অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এই সিভিগুলোকে যাচাই বাছাই করার জন্যে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি নিজেও পার্সোনালি দেখছেন। আমরা অনেক যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিব। তবে আমাদের দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মী অগ্রাধিকার পাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অনিয়ম দেখার জন্যই মনোনয়ন বোর্ড। শুধুমাত্র তৃণমূলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেয়া হবে না। এখানে সার্ভে রিপোর্টও দেখা হবে।