খােলাবাজার ২৪, বুধবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরনের ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রথম শ্রেণি হলো- যারা আসলেই ব্যবসা করতে চান কিন্তু মাঝে মাঝে হোঁচট খান। হোঁচট খেয়ে খেলাপিতে পরিণত হন।
তাদের প্রতি সহনশীল হতে হবে। কারণ তারা হয়তো পরিস্থিতির শিকার।‘আরেক ব্যবসায়ী শ্রেণি আছেন, যারা টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য ঋণ নেন। তাদের প্রতি তিনবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের কোনও ছাড় দেয়া হবে না। সেই টাকা আদায়ে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটিই করা হবে’ বলেন অর্থমন্ত্রী।অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ অবশ্যই একটি অপরাধ।
এটি জনগণের টাকা, দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই টাকা কাজে লাগে। এটির সঠিক ব্যবহারের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কিন্তু যারা এটার অপব্যবহার করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, ঋণ দেওয়ার যেমন সময় টাকাটা কোন কাজে লাগানো হবে, সেটি জানতে হবে। আবার টাকা নেওয়ার পর সেই টাকা কোন কাজে ব্যয় হচ্ছে সেটিও তদারক করতে হবে।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, গত সেপ্টম্বরে রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ডিসেম্বরে এসে তা ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। রূপালী ব্যাংকের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গ্রামীণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ারও প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে এ ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা লস করেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই লস কাটিয়ে ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে।বর্তমানে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৩৭২ কোটি টাকা। এত কম মূলধন দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের কেউ ব্যবসা করতে রাজি হন না।