সিরিজটা যে বাংলাদেশের জন্য মোটেই সহজ হবে না, তারই আগাম সতর্ক বার্তা দিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার ও ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন। ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে ড্যানি মরিসন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড খেলতে গেলে সব সময়ই ধৈর্য্য ধরতে পারাটা খুব জরুরি। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বাকিদের চেয়ে একদমই আলাদা। এমনকি বড় বড় দলগুলোও ওখানে চাপের মুখে পড়ে।’
সিরিজ মাঠে গড়ানোর আগে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যান কি বলছে তা একটু দেখে আসা যাক। একদিনের ক্রিকেটে টাইগাররা এর আগে ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছিল ব্ল্যাকক্যাপসদের। যেখানে ২১টি ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড, আর বাংলাদেশ জিতেছে বাকি ৫টি ম্যাচ।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্রাইস্টচার্চে, আর ২০ ফেব্রুয়ারি ডানেডিনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন রস টেলর। ২০ ম্যাচে দুই শতক ও পাঁচটি অর্ধশতকে ৭৮৬ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে বাংলাদেশিদের হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান সাকিবের। ২১ ম্যাচে ২টি শতক ও ২টি অর্ধশতকে সাকিবের রান ৫৭৫।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ২১ ম্যাচে বল হাতে নিয়ে মোট ৩৫টি উইকেট শিকার করেছেন সাকেব নাম্বার ওয়ান। কিউইদের মধ্যে কাইলি মিলস শীর্ষে আছেন। ১৭ ম্যাচে ৩৩টি উইকেট শিকার করেছেন সাবেক এ পেসার।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। হ্যামিল্টনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটন শুরু হবে ৮ মার্চ, আর তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ১৬ মার্চ।
এই সফরের আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোট সাতটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবকটি সিরিজই ছিল দুই ম্যাচের। তবে কোনো সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। ড্র হয়েছে একটি সিরিজ। বাকি ছয়টিতেই হেরেছে টাইগাররা।
দুই দল মোট টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ১৩টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ একবারও জিততে পারেনি। তবে তিনটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে। আর বাকি দশটি ম্যাচই জিতেছে কিউইরা। যার মধ্যে পাঁচটি ম্যাচে আবার ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগারদের। সবগুলো জয়ই ছিল বিশাল বিশাল ব্যবধানে।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সাকিব আল হাসানের ২১৭। নিউজিল্যান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস স্টিফেন ফ্লেমিং ২০৩। সবচেয়ে বেশি রানও সাকিবের ৮ ম্যাচে ৭৬৩। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৯ ম্যাচে ৫৫৮ রান।
এক ম্যাচে সর্বাধিক উইকেট ডেনিয়েল ভেট্টরির। ৯ ম্যাচে ৫১টি উইকেট শিকার করেছেন সাবেক এ স্পিনার। বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান। ৮ টেস্টে ২৬ উইকেট সাকিবের।