বাংলাদেশ অংশে মহানন্দার দৈর্ঘ ৯৫ কিলোমিটার। তবে বিশালতার মহানন্দা দিনে দিনে নানা কারণে হারিয়েছে তার গৌরব, রুপ লাবণ্য। বর্ষাকালে মহানন্দা কিছুটা নিজ রুপ ফিলে পেলেও বছরের অন্য সময় যেন মৃতপ্রায়।
তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মহানন্দার ৩৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে করা হচ্ছে ড্রেজিং। এ কাজ শেষ হলে আবারো মহানন্দা নিজ রুপে ফিরবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহিদুল আলম পরিবর্তন ডটকমকে জানান, মহানন্দাকে তার নিজ রুপ ফিরিয়ে দিতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় সবচেয়ে বড় যে কাজ সেটি হচ্ছে ৩৫৩ মিটার রাবার ড্যাম। এ অঞ্চলের কৃষি ও মৎস সম্পদের উন্নয়ন ও পানির স্তর অবনমন ঠেকানোর কথা ভেবেই রাবার ড্যাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাবার ড্যাম নির্মাণকাজ শেষ হলে নদীতে সারা বছরই পর্যাপ্ত পানি থাকবে।
তিনি আরো জানান, এটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। তবে আমরা যে শর্ত দিয়েছি, সেগুলো কোনো ঠিকাদারই পূরণ করতে পারেনি। দ্রুতই ফের দরপত্র আহ্বান করা হবে। মহানন্দার পাড়ে এসে যেন মানুষ একটু অবসর কাটাতে পারে, সেই লক্ষ্যে ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করব। নদীর পাশে কিছু চরে জেগেছে, দূর থেকে দেখে মনে হয় দ্বীপের মতো। সে সব স্থানে আগামীতে পিকনিক স্পট করা যায় কিনা সেটিও আমাদের ভাবনায় আছে। সবমিলিয়ে আমাদের এ প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজে ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের জনসভায় মহানন্দা নদী খনন ও রাবার ড্যাম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সেই ঘোষণার দীর্ঘদিন পর হলেও শেষ পর্যন্ত কাজ শুরু হওয়ায় খুশি,
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটিএকটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজ ছিলো। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় এ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন’।