বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার পর সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয় জানান হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার। তবে পুরোপুরিভাবে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হতে আরও সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আগুন লাগার পর পরই হাসপাতাল ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ, র্যাবসহ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আধাঘণ্টার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১শো রোগীকে এখান থেকে অন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে আইসিউতে থাকা ১০জনকে ঢাকা মেডিকেল ও অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনের ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে–তা এখনই জানানো সম্ভব হচ্ছে না। সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি তিনদিনের মধ্যে আগুন লাগার কারণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।
ইমারজেন্সি চালু আছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। তবে সেটা সীমিত আকারে। যে ওয়ার্ডগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো চালু হতে সময় লাগবে। যারা অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বা অন্যত্র আছে তারা ইচ্ছে করলে হাসপাতালে আবার ভর্তি হতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ড থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় ১২ রোগীকে বারান্দা ও খোলা মাঠে আশ্রয় নেয়। পরে হাসপাতাল ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে নয়টার কিছু সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওষুধের স্টোর থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।