টাইগারদের সামনে দ্বিতীয় ম্যাচটি অস্তিত্বের লড়াই। সিরিজ বাঁচানোর এই লড়াইয়ে প্রথম ভাবনায় ব্যাটিং লাইন। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেনি বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৪২ রান উঠতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর ৯৪ রানে পৌছাতে ৬ উইকেটের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ব্যাটিং স্বর্গে শুরুতে ধুঁকেছে তামিম-লিটন, মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা। মাশরাফির ম্যাচ পরবর্তী বক্তব্য অনুযায়ী, অত কম রানে বোলারদের কিছু করার থাকে না। পরের কথায় অবশ্য বোলার নিয়েও তার চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। মাশরাফির মতে, ‘এসব কন্ডিশনে বা উইকেটে হাতে একজন অসাধারণ বোলার থাকা চাই।’
নেলসনে প্রথম ওয়ানডে হারার পর বিমর্ষ বাংলাদেশ দল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতেই সিরিজে ফিরতে চায় তাঁরা। ফলে তাদের ভাবনায় এখন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ও একাদশ নিয়ে।
পেস-বাউন্সে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার মতো বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে আছেন কেবল রুবেল হোসেন। কিন্তু তিনি ছিলেন না একাদশে। ওদিকে সাকিবের অভাব তো ছিলই। সাকিবের অভাব পূরণ করতে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নেওয়া হয় দলে। সৌম্য কিংবা সাব্বিরের একজন সেই চিন্তায় ছিলেন দলে। আর রুবেলের জায়গায় খেলেছেন সাইফউদ্দিন। ব্যাট হাতে সাইফ দলের প্রয়োজনে ভরসা দিয়েছেন। বল হাতে রুবেলের অভাব মেটাতে পেরেছেন তো? প্রশ্ন উঠছে কারণ, ৭ ওভারে ৪৩ রান খরচা করা সাইফই ছিলেন সবচেয়ে বিবর্ণ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাই ব্যাটিং-বোলিংয়ে গুছিয়ে নামতে হবে মাশরাফিদের। যেন সংগ্রহ দিলে লড়াই করতে পারে। সেই চিন্তায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তাই দলে দেখা যেতে পারে পরিবর্তন। সেক্ষেত্রে রুবেল-সাইফ দু’জনই থাকতে পারেন একাদশে। ছেঁটে ফেলতে হতে পারে সাব্বিরের নাম। আগের চার বোলার নিয়ে নামার রক্ষনাত্মক কৌশলও নিতে পারে বাংলাদেশ। রিয়াদ-সাব্বির-সৌম্যদের কাঁধে থাকতে পারে ১০ ওভার বল করার দায়িত্ব। শনিবার ভোর ৪টার ম্যাচে তাই দেখার আছে অনেক কিছু। একাদশ, উইকেট, কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া, ব্যাটিং চিন্তা কাটিয়ে ওঠাসহ অনেক কিছু।