খােলাবাজার ২৪, রবিবার ,১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ দেশেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিত্যাক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুদ্ধাহত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাগণ নির্দিষ্ট কোন পরিত্যক্তবাড়ি বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে প্রচলিত বিধি বিধান অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ গৃহহীণ থাকবে না। ঘোষণার আলোকে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের গৃহায়নের জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে ১১ নং সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়া ভিত্তিক ৫৩৩টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেছেন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ চলমান আছে। আগামী ২০২০ সালে প্রকল্পটি শেষ হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সরকারি অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে আলাদা দুটি প্রকল্পে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভাড়া ভিত্তিক আরও ১০ হাজার ৫৩০ টি এবং চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়ায় ২ হাজার ৬৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলার গৃহহীন মানুষের মাঝে স্বল্প খরচে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় অসহায় মানুষের জন্য বাসস্থান/ফ্ল্যাট তৈরীর লক্ষ্যে দেশের চিহ্নিত তিনটি পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন (কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ) এলাকায় বাসস্থান উন্নয়নের একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্পটিতে ৫ হাজার ৭০০ ইউনিট বাসস্থান নির্মাণ/সংস্কার/সম্প্রসারণের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ হবে।