
খবরে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেচারার নেতৃত্বে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ক্যালিফোর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্যগুলো।
এ মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার সঙ্গে আছে কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়ার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, নিউইয়র্ক, অরিগন ও ভার্জিনিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলরা।
মামলার বিষয়ে জেভিয়ার বলেন, ক্ষমতার পৃথককরণ ও সংবিধান লঙ্ঘন ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি। আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে আমেরিকানদের অর্থ চুরি বন্ধ করতে চাই আমরা।
জরুরি অবস্থার ঘোষণার সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে একগুচ্ছ মামলার মুখে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি, বর্ডার নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসসহ একাধিক পক্ষ।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেতে বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে না ট্রাম্পকে।
হোয়াইট হাউস জানায়, এ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সামরিক খাতের নির্মাণ প্রকল্পের ৩৬০ কোটি ডলার, মাদকবিরোধী প্রকল্পের ২৫০ কোটি ডলার এবং ট্রেজারি বিভাগের ৬০ কোটি ডলার দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দ দিতে পারবে ট্রাম্প।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হয়ে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বিলে সই করতে ট্রাম্প অস্বীকৃতি জানালে ২১ ডিসেম্বর থেকে অচলাবস্থার মুখে পড়ে দেশটি। সেই অচলাবস্থা শেষ হয় ৩৫ দিন পর।
ব্রেনান সেন্টার জানায়, ১৯৭৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৫৮বার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে ত্রিশটি এখনো চলমান।