
শিক্ষার্থী, শিশু, কিশোর তরুণরা প্রতিবছরই অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে তার বেদিতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ভাষা শহীদদের প্রতি হৃদয়ের যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা ঢেলে দেয় তা অকিঞ্চিতকর নয় মোটেই।
২০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই শুরু হয় মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। ছেলে-মেয়েরা অর্থ সংগ্রহে নেমে পড়ে। বাজেট খুব বেশি নয়। বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকেই আসে সে অর্থ। বিকেল থেকে শুরু হয় মূল প্রস্তুতি। কলাগাছ, বাঁশের চটা, গাছের পাতা, রং-বেরংয়ের কাগজ, আঁঠা, পেরেক, কাঠের গুঁড়া দিয়েই কাজ চলতে থাকে প্রাণের শহীদ মিনারের। একদল চলে ফুল সংগ্রহে।
জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরগুলো জানিয়েছে, জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় রয়েছে ১০৭ টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৩টি, ডিগ্রি কলেজ ১১ টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২ টি, স্কুল ও কলেজ১৫টি, দাখিল মাদ্রাসা ৯৮টি, আলিম মাদ্রাসা ২১টি, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা ১৩টি, ইবতেদায়ি ২৫০টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৫০টি। এছাড়াও বেসরকারি, দাতা ও উন্নয়ন সংস্থার পরিচালনায় ২ শতাধিক আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এ সকল বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই কোন শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসাইন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এমএন মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নেই। যে সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সে সকল স্থানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।