রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘কমান্ডো অভিযান চালিয়েছেন হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল।’
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘‘ছিনতাইকারীর বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৬ বছর। ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য আমাদের কমান্ডোরা প্রথমে তাকে সারেন্ডার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর স্বাভাবিক অ্যাকশন যেটা, সেটা নেওয়া হয়েছে এবং আমাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ছিনতাইকারী প্রথমে আহত ও পরবর্তীতে সে মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘তাকে দেখে প্রথমে আমাদের পাইলট মনে করেছিল, সে একজন বিদেশি। কিন্তু সে একজন বাংলাদেশি। তার কাছে একটি অস্ত্র ছিল। একটা পিস্তল। এছাড়া অন্য কিছু এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। সে যাত্রীদের কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি।’
তিনি আরও জানান, ‘ওই উড়োজাহাজে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত অবস্থায় নেমে এসেছেন। কেবিন ক্রুদের জিম্মি করা হয়েছিল। তবে ছিনতাইকারী কোনো যাত্রীর কোনো ক্ষতি করেনি।’
তবে এর আগে ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুবুর রহমান। তিনি তখন বলেছিলেন‘ সংকটের সমাধান হয়ে গেছে। গুলিবিদ্ধ একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
সূত্রে জানা যায়, বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই এক বা একাধিক হাইজ্যাকার পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় সময় পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।