Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

‘পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ হলে আন্দোলন’

খােলাবাজার ২৪,বুধবার,২৭ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জা‌নি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আ‌য়ো‌জিত সমাবেশে তারা এ দা‌বি জানান।

হকারদের সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, ‘সিঙ্গাপুর বা ব্যাংককে নিশ্চয়ই আপনারা টাকা পাঠান না, বাড়ি গাড়ি করেন না। যারা সেখানে টাকা পাঠায় তারা দেশের শত্রু। যারা গ্রামে টাকা পাঠায়, গ্রামের একটি মেয়েকে স্কুলে পড়ায় তারা এ দেশের বন্ধু। আপনারা বাংলাদেশের বন্ধু। এটি মেয়র সাহেবকে বুঝতে হবে। মেয়র সাহেব এটি বুঝেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’

হকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কেউ ব্যাংক থেকে আট হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায় আর আপনি (হকার) তো ১০০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লোন চান নাই। আপনারা একটু বাঁচতে চেয়েছেন। এই শহরে যখন গলা পানি থাকে, তখনও আপনার রাস্তায় বসে ব্যবসা করেন। আমরা ঘরের ভেতরে বসে টিভি দেখি আর খিচুড়ি খাই। তাহলে এই শহরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আপনারা। তাহলে কেন আপনাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে?’

তি‌নি ব‌লেন, ‘আপনারা তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা ভিক্ষা চান নাই। আপনারা ঋণ করে ছোট্ট একটা দোকান করেছেন, সেই দোকান বাহাদুরী দেখিয়ে, লাঠিপেটা করে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। এটা অন্যায়। আমি যদি পাকিস্তানি বিহারী ও রোহিঙ্গাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারি, এই দেশে যদি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারি, তাহলে এই শহরে আমার দেশের মানুষের জীবন জীবিকার জন্য কেন একটু জায়গা দিতে পারব না। আপনারা সংগ্রাম চালান, আন্দোলন চালান। আপনাদের সঙ্গে আছি।’

গুলিস্তানের ট্রাউজার-জার্সি বিক্রেতা হকার মোহাম্মদ জাবেদ আলী বলেন, ‘আমাদের ফুটপাতে এখন আর বসতে দেয় না। এখন আমাদের বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে গেছে। আমরা চাই, আমরা যেন বেঁচে থাকার জন্য একটু জায়গা পাই যেখানে ব্যবসা করে খেতে পারে।’

সমাবেশে কমরেড জহিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুলিস্তান পল্টন মতিঝিল এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক হকার উপস্থিত ছিল। তাদের উপস্থিতি তোপখানা রোডের একাংশ বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা।