রবিবার (৩ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে দুই চিকিৎসকসহ মেডিকেল টিমের চার সদস্যের হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) থাকা এ নেতাকে দেখছেন বলে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া নিশ্চিত করেছেন।
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চার সদস্যের এই মেডিকেল টিম ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিমের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বিএসএমএমইউয়ের মেডিকেল টিমের মিটিং চলছে। মিটিং থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এরই মধ্যে বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এখন লাইফ সাপোর্টে। তাই আপাতত সিঙ্গাপুরে নেয়া সম্ভব নয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হবে।
তবে সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের জানান, ‘তার (কাদের) অবস্থা স্থিতিশীল, তবে শঙ্কামুক্ত নন। তিনি হাত পা নাড়ছেন, চোখ মেলছেন এবং সাড়াও দিচ্ছেন। এভাবে যদি ১০ ঘণ্টা থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি শঙ্কামুক্ত।’
বিএসএমএমইউ’র কার্ডিয়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান সেসময় বলেন, ‘২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এখনো উনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। উনার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি। এই অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠালে স্ট্যাবিলিটি আনস্ট্যাবল হয়ে যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। এনজিওগ্রাম করার পর ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লক খুলে রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।