খােলাবাজার ২৪, সোমবার, ০৪ মার্চ২০১৯ঃ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারান্তরীণ রয়েছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধাননেত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ, তার শরীর ভালো যাচ্ছে না। খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন নিজেই এ কথা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
রবিবার নাইকো মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ম্যাডাম কেমন আছেন।’ উত্তরে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভালো নেই। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।’
নাইকো মামলার অভিযোগ শুনানিতে দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে হুইলচেয়ারে করে পুরান ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে আনা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। এজলাসে ছিলেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। এজলাসে প্রবেশের সময় বেগম খালেদা জিয়াকে সালাম দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল।
আদালতকে উদ্দেশ্য করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আগের ডেটে আদালতে আসার জন্য আমি রেডি ছিলাম। আমাকে আনা হয়নি। অথচ বলা হয়েছে, আমি নাকি ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই আমাকে আদালতে আনা যায়নি। এই তথ্য সঠিক নয়।
এদিন আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বসা ছিলেন। এক ফাঁকে এই দুই নেতা কথা বলেন।
আদালতের কার্যক্রম শেষ হয় বেলা ১ টা ৪৮ মিনিটে। এরপর ফের বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাইকো মামলায় বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল— বেগম খালেদা জিয়া ঘুমাচ্ছেন। তিনি ঘুম থেকে উঠতে পারেননি বলে আদালতে হাজির করা হয়নি।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়। সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
ওই দিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন আদালত।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নাইকো মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বছর জানুয়ারিতে তিন দিন এবং এ মাসে দুদিন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।