আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সমবেত হন। পরে তাঁরা মানববন্ধন করেন। আধা ঘণ্টার এ মানববন্ধনে সাংবাদিক লাহেল মাহমুদকে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন নাজিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, সাবেক সভাপতি কেএম সাঈদ, নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিমা, সহকারী শিক্ষক বিরেন্দ্র নাথ মজুমদার, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিথী মাশরী ও চাঁদনী আক্তার।
প্রেসক্লাব সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা মানে দেশের বিবেকের ওপর হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করি।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি উপজেলা সদরের নিজ বাসা থেকে পায়ে হেটে পূবালী ব্যাংক চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন আরিফুর রহমান টুবুলের দোকানের সামনে পৌছলে লাহেল মাহমুদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি ৩ জনকে আসামি করে ওই রাতেই নাজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমার জানামতে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া বলেন, এ ঘটনায় ওই সাংবাদিকের দেয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।