তাই রবিবার (১১ মার্চ) টেস্টের তৃতীয় দিন আধাঘণ্টা আগেই টস করা হয়। বেসিন রিজার্ভে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসার আবু জায়ের রাহির তোপে পড়ে স্বাগতিকরা। মাত্র ৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় তারা।
এ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে সাবধানী ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও টেইলর। দলের রান যখন ৩৮ ঠিক তখনই নামে বৃষ্টি। পরে আর খেলা গড়ায়নি। শেষ বিকালে মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। পরিস্থিতি বিবেচনায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তারা।
ওয়ালিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ সূচনা করেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১১ রান করে বাংলাদেশ। নেইল ওয়াগনার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর বোল্ট নিয়েছেন তিনটি। এছাড়া সাউদি, গ্রান্ডহোম ও হেনরি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে তামিম ইকবাল। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে।
বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়। তবে রবিবার (১০ মার্চ) সকালটি ছিলো রোদেলা। প্রথম দুইদিন একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। এমনকি টস পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি। টেস্টের তৃতীয় দিন তাই আধাঘণ্টা আগেই টস করা হয়। বেসিন রিজার্ভে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট চালাতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭৫ রান। সাদমান ২৭ রান করে গ্রান্ডহোম’র বলে আউট হন। তবে তামিম টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৭তম অর্ধশতক তুলে নেন।
এরপর দলীয় শতক পেরুনোর পর আরো দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৫ রানে ওয়াগনারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। একই বোলারের বলে কিউই উইকেট রক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি মাত্র তিন রান করেন।
তিন উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে এসেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে ওয়াগনারের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি।
তামিম আউটের পর সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। তিনি ২৪ বল খেলে ২০ রান করেন। সৌম্যর বিদায়ের পর লিটস দাসকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তাকে মাত্র ১৩ রানে ফিরিয়ে ওয়াগনার তার চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। ১৬৮ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরাতে ব্যাট চালাচ্ছিলেন লিটন দাস ও তাইজুল ইসলাম। তাদের জুটিও বেশ দূর এগুতে পারেনি।
মাত্র ৩৮ রান করে তাদের জুটি। এরপর ব্যক্তিগত ৮ রান ও দলীয় ২০৬ রানে বোল্টের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তাইজুল। এরপর ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলেই বোল্টের বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান তিনি।
তিনি যখন আউট হন তখন দলীয় রান ছিলো ২০৬। এরপর ২০৭ রানের মাথায় লিটস দাস ও ২১১ রানের মাথায় আবু জায়েদ সাজঘরে ফিরে যান।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। খালেদ আহমেদের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছে মোস্তাফিজুর রহমান। আর মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে খেলছেন তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে নিউজিল্যান্ড। টড অ্যাস্টলের পরিবর্তে খেলছেন ম্যাট হেনরি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসাইন, মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: জিত রাভাল, টম লাথাম, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, বি জে ওয়াটলিং, কোলিন ডি গ্রান্ডহোমি, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার, ট্রেন্ট বোল্ট।