দিন দশেক আগে সেখানে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে তার একমাত্র ছেলে আইজানও রয়েছে। শাবনূর আরো বলেন, বাংলাদেশে থাকলে খাবার, কাজের মানুষসহ অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয়। তারপরও বিদেশে এলে দেশের কথা, ভক্তদের কথা খুব মনে পড়ে আমার। তাই অস্ট্রেলিয়ায় বেশিদিন থাকতে ইচ্ছে করে না। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে আমার কাজিন শিমু এসেছিল।
তার সঙ্গে দেশের অনেক বিষয় নিয়ে কথা হলো। আমি তো সিডনিতে থাকি। এখানকার আবহাওয়া এখন বেশ ভালো। অনেকদিন পর এসে ভালোই লাগছে। অনেকে বলে থাকেন যে, ঢাকাতে গরম শুরু হলেই দেশ ত্যাগ করেন শাবনূর। এবারো কি সেজন্য যাওয়া ? জবাবে এ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বলেন, আমি একটু আরামপ্রিয় মানুষ। তা বলতে পারেন। গরম আমার একদম সহ্য হয় না। তবে একটা সময় গরমের মধ্যেই রাত-দিন টানা শুটিং করেছি। সেই দিনগুলো আজো মনে পড়ে। তবে চলচ্চিত্রের সেই সুসময়টা এখন আর নেই শুনলে খুব খারাপ লাগে। বর্তমানে সিনেমায় যারা কাজ করছেন তাদের অভিনয় নিয়ে বলুন। শাবনূর বলেন, আমি দেশে এলে সিনেমা দেখা হয়। এই যেমন জয়া আহসান, সিয়াম, পূজার অভিনীত ছবিগুলো মাঝে দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। ভালো কাজ হচ্ছে। এখন তো বাংলা সিনেমা বিদেশেও মুক্তি পাচ্ছে। দর্শক বেড়েছে। এখনই তো বাংলা চলচ্চিত্রে সবার সেরাটা দেওয়ার সময় এসেছে। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে শাবনূর কাজে ফিরবেন।
সেটা কবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চাইলেই হঠাৎ করে কাজ শুরু করতে পারি। তবে বেশ খানিকটা ফিট হয়ে দর্শকদের সামনে ফিরতে চাই। আর ফিট হতে তো সময় লাগবে। কারণ চাইলেই তো হঠাৎ করে ওজন কমানো বা শুকানো সম্ভব না। ফিট হওয়ার জন্য আরো সময় প্রয়োজন। তবে হ্যাঁ কাজ করার ইচ্ছে আমার আছে। সময়মতোই আমি কাজে ফিরব। দেশে ফিরব দুই মাস পর। তখন এসে কিছু কাজ করার ইচ্ছে আছে। অভিনয়ের বাইরে পরিচালনাও করার ইচ্ছে রয়েছে শাবনূরের। তবে সে বিষয়ে ঘটা করেই ঘোষণা দেবেন তিনি। শাবনূর বলেন, পরিচালক হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে তো রয়েছে। তবে সেজন্য সময় প্রয়োজন। অভিনয়ের বাইরে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় অবস্থিত সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দুজন কর্ণধারের একজন শাবনূর। আরেকজন তারই ছোট বোন ঝুমুর। শাবনূর আরো বলেন, ছেলে আইজান এখন আমার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায়।
অনেক দুষ্টুমি করলেও ঝুমুরের বাচ্চাদের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই আছে ও। সারক্ষণ টিভি দেখছে, খেলছে । এক জায়গায় শুনলাম আমি আইজানকে অস্ট্রেলিয়ায় স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য এনেছি। না, বিষয়টি তা নয়। কারণ আইজানতো ঢাকার একটি স্কুলে ভর্তি আছেই। আর ভবিষতে হয়তো দেশের বাইরে পড়াশুনা করবে। দেখা যাক। এটা নিয়ে ভাবি না। এখনো তো ছোট। বয়স কত হলো আইজানের জানতে চাইলে শাবনূর বলেন, ৫ বছর পার হয়েছে। দেখতে দেখতে সময় চলে যায়। ভাবতেই অবাক লাগে। শাবনূর সবশেষে বলেন, ইন্ডাস্ট্রির ছোট-বড় সকলের ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি আমি। চলচ্চিত্রের মানুষদের পাশে আজীবন থাকার চেষ্টা করবো। আর দেশে ফিরে ব্যাটে-বলে মিললে নতুন কাজ আবার শুরু করব।