বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরের দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ২ নং বিশেষ জজ এ এইচ এম রুহুল ইমরানের আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় কাস্টডি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র জেল সুপার স্বাক্ষরিত কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট বন্দী বিজ্ঞ আদালতে যেতে অনিচ্ছুক।’
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেরন কাজল বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আমরা মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানি করতে চায়।
অপরদিকে খালেদার আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, আমরা মামলাটির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করেছি। অপরদিকে মামলার আসামি খালেদা জিয়া ও আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করছি।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়েছিল না। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ বলেছিল, ‘খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে আছে, তাই হাজির করা হয়নি।’ তবে পরবর্তী ৩ মার্চ খালেদা জিয়া আদালতে বলেছিলেন, ‘আগের ডেটে (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালতে আসার জন্য আমি রেডি ছিলাম। আমাকে আনা হয়নি। অথচ বলা হয়েছে, আমি নাকি ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই আমাকে আদালতে আনা যায়নি। এই তথ্য সঠিক নয়।’