
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়। এদিনও শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ বিএনপি প্রধানকে হুইল চেয়ারে করেই হাজির করা হয়। গত বছরের অক্টোবর থেকে হুইল চেয়ারই ভরসা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব। শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) আদালতে হুইল চেয়ারে বসতে কষ্ট হচ্ছে। তাঁর হাতে ও হাঁটুতে খুবই ব্যথা। ঠিকমতো ডাক্তারের চেকআপ করা হচ্ছে না।’
সরকারের কাছে দলের প্রধানের সু-চিকিৎসার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের শরীরটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। তিনি আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বমিও করেছেন।’
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ১২টা ৪০ মিনিটে। বিচারক এজলাসে আসেন ১২টা ৪২ মিনিটে। আদালতের কার্যক্রম শেষ হয় ১টা ২০ মিনিটে। এর ৭ মিনিট পর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার ৫ মিনিট আগে মির্জা ফখরুল আদালতে আসেন। পুরো সময় তাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) গ্যাটকো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
খালেদা জিয়াকে হাজির না করে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন ড. মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত একটি কাস্টডি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। এতে লেখা হয়েছে- ‘শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আজ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজি করা হয়নি।’