এসময় তারা জানান, নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির দাবিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানিয়ে আসছে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বলেছিলেন-‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। অনশন ভেঙে আপনাদেরকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছেন।’
পরবর্তীতে অনশন চলাকালে ২০১৮ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। ওই দিন বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনশনরত অবস্থায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, রাশেদা কে চৌধুরী, তারেক জিয়া উদ্দিন এসে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবি অবশ্যই পূরণ করবেন। আপনারা অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যান।’
এসব আশ্বাসে আমরা বাড়ি ফিরে যাই। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে। কিন্তু অজানা কারণে এখনও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের বাঁচা-মরার এই যৌক্তিক মানবিক আবেদন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেন আমাদের একমাত্র সম্বল। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শিক্ষক কর্মচারীরা এই পদযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জানতে চাইলে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবিসব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এটা মেনে নিয়েছিলেন এবং আশ্বস্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই অর্থবছর (২০১৮-১৯) থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু দেড়বছর অতিবাহিত হলেও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা হতাশার জায়গা থেকে আবারও এখানে এসেছি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ। যেহেতু উনার প্রতিশ্রুতি আছে, আমরা আশা করি এর বাস্তবায়ন হবে।’
প্রেস ক্লাবে অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করবো। তার আগে সবাই এখানে জমায়েত হচ্ছেন। যদি আমাদের বাধা আসে, তাহলে আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি পালন করব।’
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ সারাদেশের প্রায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী পদযাত্রায় অংশ নিতে প্রেসক্লাবে জড়ো হন।