Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন

খােলাবাজার ২৪, রবিবার, ২৪মার্চ ২০১৯ঃ  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে উদ্ভূত অচলাবস্থা নিরসনে লন্ডনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন দশ লাখ মানুষ। তাদের দাবি, দ্বিতীয় গণভোট এবং প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পদত্যাগ।

রবিবার (২৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শনিবার (২৩ মার্চ) যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের পার্ক লেইন থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট স্কয়ার পর্যন্ত গণভোটের দাবিতে মিছিল করে মানুষ। পরে সেখানে এক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময়ে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে ১০ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তারপরে লন্ডনে এত বড় জমায়েত এই প্রথম।

‘পুট ইট টু দ্য পিপল’ (জনগণের হাতে ছেড়ে দাও) নামে আয়োজিত এ সমাবেশে দশ লাখেরও বেশি মানুষ সমবেত হয় বলে দাবি করেছে আয়োজকরা। ব্রেক্সিট বাতিলের দাবিতে অনেক প্রতিবাদকারী হাতে ইইউ পতাকা নিয়ে সমাবেশে হাজির হন।

ব্রেক্সিটের পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে ইইউ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে গণভোটের দাবি তুলেছে বিরোধী পক্ষরা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা ভিন্স কেবল, লেবার পার্টির আরেক নেতা টম ওয়াটসন, স্কটল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিকোলা স্টারজেন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান প্রমুখ।

টম ওয়াটসন বলেন,  প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের ব্রেক্সিট চুক্তি একটি যেনতেন রকমের চুক্তি। তাঁর কথা হলো- হয় ‘হ্যাঁ’ বলো, নয় ‘না’। আমি কেবলমাত্র তখনই ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দিতে পারি, যদি আপনি তার আগে জনগণকে সে ব্যাপারে ভোট দিতে দেন। আপনি এই ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। দেশে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এবারে জনগণকে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে দিন।

মেয়র সাদিক খান বলেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন। এখন ব্রেক্সিটের বিষয়ে গণভোট আয়োজন ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। ব্রেক্সিটের সময় শেষ হয়ে গেছে,  নতুন করে চুক্তির বিষয়ে দেন-দরবার করার জন্য আর সময় অবশিষ্ট নেই। প্রধানমন্ত্রী বিভ্রান্তিকর তৎপরতার মাধ্যমে আমাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের আস্থা নষ্ট করেছেন। সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয় এমন একটি চুক্তির বিষয়ে যারা সহায়তা করতে চেয়েছিলেন, তারাই এখন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ইতি চান।

এদিকে ব্রেক্সিট বাতিল করে ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে এরই মাঝে ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনলাইন পিটিশন করেছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।

প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর কাছে ৯০ দিন সময় চেয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মে। কিন্তু জবাবে তাকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইইউ। এর মধ্যে তৃতীয় ও শেষবারের মতো তার চুক্তি পার্লামেন্টে পেশ করতে হবে মে-কে। ওই চুক্তি যদি পাস হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রিটেনকে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। কিন্তু চুক্তি পাস না হলে, ১২ এপ্রিলের মধ্যে ইইউ-কে জানাতে হবে।