Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার ২৪, মঙ্গলবার, ২৬মার্চ ২০১৯ঃ একটি দেশের জনগণ যখন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তখন সে দেশের জনগণ ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ হয়ে অধিকারে আদায়ে উদ্বেলিত হয়। জনগণকে তাদের অধিকার থেকে শাসকগোষ্ঠী সাময়িক কয়েক বছর প্রশাসনের নিয়ম-নীতি বিসর্জন দিয়ে দমন-পীড়ন, নিপীড়ন চালিয়ে দাবায়ে রাখতে পারলেও দীর্ঘদিন দাবায়ে রাখতে পারেন না, দীর্ঘদিন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না। একদিন ঠিকই জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জেগে ওঠে-দুঃশাসন সেদিন পরাজিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় জনগণের সরকার তথা গণতন্ত্র। তখন সে দেশের জনগণের বা জাতির নাম ইতিহাসে লেখা হয়-যা কোনদিন শেষ হবার নয়।

বৃটিশ আমল থেকেই আমাদের এই বাংলাদেশ অংশ ছিল অবহেলিত। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তা আরো বেড়ে যায়। তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী দ্বারা শাসিত ও শোষিত। তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণের মুখের কথা বলার ভাষাও চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব বাংলার জনগণ ১৯৪৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসের পর ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়ে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে কথা বলার ভাষা ‘বাংলাভাষা’র অধিকার আদায় করে।

বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাকালে কি দেখা যায়-মানুষ কি স্বাধীনভাবে তাদের কথা বলতে পারে ? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মানুষ কি স্বাধীনভাবে তাদের মনের কথা বলতে বা লেখতে পারে ? যা হচ্ছে বা ঘটছে তা বলতে গেলে বা লেখতে গেলেই যেনো ক্ষমতাসীনদের গাঁ জ¦ালা করে। তখন ক্ষমতাসীনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যারা স্বাধীন মতামত প্রকাশ করে তাদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চালায় বা গুম, অপহরণ, গ্রেফতার, রিমান্ড, জেল, জুলুম হুলিয়া চাপিয়ে দেয়-তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ বন্ধের জন্য। তবুও জনগণ ১৯৫২ সালের সেই প্রেরণা নিয়ে সকল বাধা উপেক্ষা করে (যদিও ক্ষমতাসীনরা তাদের দুঃশাসনের দাবানলে এগুলো দাবিয়ে রাখতে চায়) তাদের স্বাধীন মতামত আজো প্রকাশ করে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনের দুর্বিনীত দুঃশাসন, শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, নিপীড়ন উপেক্ষা করে জনগণ তাদের মতামত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে প্রকাশ করতে পারতেছে-তা বর্তমান ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এক ধরনের বিজয় বলে চিহ্নিত করা যায়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীরা ১৯৫২ সালের পর যেনো আরো কঠোরতর হতে থাকে। জনগণের যেনো কোন অধিকারই তারা আর রাখতে চায় না। তাই পশ্চিম পাকিস্তানে ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু হয় একক কর্তৃত্ববাদের স্বৈরাশাসন-আর শাসকের স্তরে অধিষ্ঠিত হন আইয়ুব খান। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে চালু করেন মৌলিক গণতন্ত্র, তখন জনগণের মত প্রকাশের যে মাধ্যম ভোটাধিকার-তা ছিল না। সে গণতন্ত্রে জনগণের কোন অধিকার ছিল না-ছিল শাসকগোষ্ঠীর জনগণের উপর যা চাপিয়ে দিবেন তাই পালন করার একমাত্র জোড়প্রকোষ্ট চাপ। মানুষ দু’ঠোটের ফাঁক দিয়ে যেনো তখন তাদের অধিকার সম্বলিত সত্য কথাও বলতে বা লেখতে পারতেন না। বলতে বা লেখতে গেলে তার উপর শাসক গোষ্ঠীর কঠোর খড়গ নেমে আসতো।

আর বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে কি দেখা যায়। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে মানুষের সত্য কথা বলা বা লেখার স্বাধীনতা বা অধিকার কতোটুকু আছে ? মানুষের কি গণতান্ত্রিক অধিকার বা ভোটাধিকার আছে ? বর্তমান আওয়ামী এই শাসকের সময় মানুষ কি ভোট দিতে পেরেছে ? ভোটকেন্দ্রে ভোটারশুন্য, তবুও কেউ কেউ ভোট দিতে গেলে কেন্দ্র দখলকারীরা বলে,“আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে,বাড়ী যান”।…… বর্তমান শাসক যেনো গণতন্ত্রকে একেবারে গলাটিপে, পায়ে ডলে শেষ করে দিয়েছেন। মানুষ এখন আর ভোট দিতে যান না। তার প্রমাণ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভোট। আর ভোটের আগের রাতেই ক্ষমতাসীনরা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর যোগসাজসে তাদের প্রতীকে ব্যালটে ছিল মেরে বাক্স ভরে রাখেন। নির্বাচন কমিশন থেকেই যা মুখ দিয়ে বের হয়ে এসেছে সম্প্রতি এক বক্তব্যে যে, ‘ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স যাতে না ভরাতে পারে তা রোধ করতেই ইভিএম আনা হবে’। তার মানে কি দ্বারাই নির্বাচন কমিশন স্বীকার করলেন যে, ভোটের আগের রাতে ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রতীকে ব্যালটে ছিল মেরে বাক্স ভরান।……..এই হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সময়ের গণতন্ত্র। যে গণতন্ত্রে আইযুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের মতো জনগণের কোন অধিকার থাকবে না-একক কর্তৃত্ববাদের শাসক তার ক্ষমতা থাকার স্বার্থে যা চাপিয়ে দিবেন তাই পালন করতে হবে, নইলে চুপ থাকতে হবে। চুপ না থাকলে তার উপর নেমে আসবে একক কর্তৃত্ববাদের স্বৈরাশাসকের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের দাবানল। অতএব বোঝাই যাচ্ছে বর্তমান শাসন আইয়ুব খানের শাসনকেও ছাড়িয়ে গেছে।

আইযুব খানের সে স্বৈরাশাসন উপেক্ষা করেও তৎকালীন সময়ে জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে ফুঁসে উঠত। তৎকালীন একটি রাজনৈতিক দলও স্বৈরাশাসনে বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি দিত। ছাত্রসমাজও অধিকার সম্বলিত আন্দোলনে মুখরিত ছিল। ফলে অইয়ুব খান ধীরে ধীরে দমিয়ে যেতে লাগল এবং ১৯৭০ সালে নির্বাচন দিতে বাধ্য হলো কিন্তু সে নির্বাচনে Legal frame work order (এল এফ ও) বা আইনগত কাঠামো আদেশ নামে একটি শর্ত ছিল-যা পাকিস্তানীদের স্বার্থসিদ্ধির একটি দলিল। ফলে পূর্ববাংলার আওয়ামীলীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দল সে স্বার্থ সিদ্ধির শর্তের জন্য নির্বাচন বর্জন করল এবং আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করলো।

আর বাংলাদেশে বর্তমান শাসকের সময় কি দেখা যাচ্ছে-ঠিক সেই সময়ের মতোই জনগণ স্বৈরাশাসন অতিবাহিত করছে। তাদের আজ কোন ভোটাধিকার নেই-একটি রাজনৈতিক দল জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে জোড়পূর্বক বাধা সত্ত্বেও পালন করে আসতেছেন। অপরদিকে ছাত্রসমাজও তাদের অধিকার আদায়ে একক কর্তৃত্বাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। জনগণের অধিকার, ছাত্রসমাজের অধিকার আর মানবাধিকার ও ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনরত একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার যখন একাকার হয়ে যাবে তখনই একক কর্তৃত্ববাদের দুঃশাসন দমিয়ে যাবে এবং অনুষ্ঠিত হবে অবাধ, সুষ্ঠ, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন।

১৯৭০ সালের সেই নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান অধীর আগ্রহে দিন গুনেন ক্ষমতা গ্রহণের জন্য। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানীরা তাল-বাহানা করতে থাকেন শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দেওয়ার জন্য। শেখ মুজিবুর রহমানও অল পাকিস্তানের ক্ষমতা গ্রহনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও পাকস্তানীদের মধ্যে দরবার চলতে থাকে। পাকিস্তানীরা নিজেদের মধ্যেই ক্ষমতা রাখতে অনড় থাকেন এবং শেখ মুজিবও ক্ষমতা গ্রহনে ছাড় দিতে অনড় অবস্থানে থাকেন। এভাবে দেন-দরবার চলতে চলতে পশ্চিম পাকিস্তানীরা ২৫ শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশীদের উপর লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালান এবং শেখ মুজিবও গ্রেফতার হয়ে চলে যান পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে। তার দলের নেতারা কেউ ভারতে পালিয়ে যান, কেউ আত্মগোপন করে থাকেন। গোটা জাতি ঘোর আঁধারে নিমজ্জিত হয়। এমনি অবস্থায় সাহসভরে গোটা জাতিকে স্বস্তিতে আনতে এবং আলোর পথ দেখাতে এগিয়ে আসেন তৎকালীন অষ্টম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি প্রথমে রিভোল্ট (‘revolt….”.) ঘোষণা করেন এবং তারপর পরই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাটি নি¤œরূপঃ

Dear fellow freedom fighter’s-

I, Major Ziaur Rahman, Provisional Presiden and commander-in-chief of liberation Army do hereby proclaim independence of Bangladesh and appeal for joining our liberation struggle. Bangladesh is independent. We have waged war for the liberation of bangladesh. Everybody is requested to participate in the liberation war with whatever we have. We will have to fight and liberate the country from the occupation of pakistan Army.

Inshallah, victory is ours.

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় সহযোদ্ধা ভাইয়েরা,
আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চীফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন সামর্থ অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে দেশ ছাড়া করতে হবে।
ইনশাল্লাহ, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

মেজর জিয়াউর রহমান এর সে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাসনে-শোষনে শোষিত, বঞ্চিত, অধিকারহারা-দিশাহারা নিপীড়িত জনগণ যেনো দিশা খুঁজে পেল, কান্ডারী খঁজে পেল, জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা খুজে পেল-তাই তারা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। মেজর জিয়াউর রহমানও প্রথমে ১নং সেক্টর কমান্ডারের দ্বায়িত্ব নিয়ে এবং পরে জেড ফোর্সের প্রধানের দ্বায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেন। আধার এ জাতি যেনো জিয়াউর রহমান এর মাধ্যমে আলো খুঁজে পেল। দেশ স্বাধীন হলো। লাল-সবুজ পতাকা এ জমিনে উড়ল।

এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে আজ জনগণ কতোটা তাদের অধিকার পালন করতে পারতেছে। মানুষ কি আজ মনের কথা প্রকাশ করতে বা বলতে বা লেখতে পারতেছে ? দেশের ও জনগণের কথা ভেবে অনেকেই লেখালেখি করে যাচ্ছে-তাদের উপরও নেমে আসে ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার খড়গ-হতে হয় তাকে গুম অপহরণ, খুন, পঙ্গুত্ববরণ, জেল বা অন্যকিছু। এমন অবস্থায় কোথায় যাবে মানুষ ? আদালতে……..। সেখানেও চলে ভেল্কিবাজির খেলা-যা এ দেশের জনগণ দেখছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে মামলা ছিল মাত্র ৫টি আর বর্তমান শাসক প্রধান শেখ হাসিনার নামে ছিল হত্যা মামলাসহ ১৫ টি মামলা। ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী প্রধান মাত্র তিন মাসে তার সমস্ত মামলা তুলে নেন আর বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে প্রহসনের রায়ে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখেন। অথচ যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্ধী সে মামলায় অর্থ তছরুপ-ই করা হয় নি। বেগম খালেদা জিয়া জামিনযোগ্য হলেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না-কোন এক জাদুকরের জাদুর অদৃশ্য শক্তির জন্য। এই যে মানুষের নির্ভরস্থল যে আদালত-সেখানকারও দ্বি-মুখিতা মানুষ দেখে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জনগণ মনেমনে ভাবছেঁ-‘ইতিহাস স্বাক্ষী রয়, ইতিহাস কথা কয়। সত্যের বিজয় একদিন হয়-মিথ্যা ধ্বংস হয়।

মানুষ কি বর্তমান শাসকের সময়ে তাদের নিজের ভোট নিজে দিতে পারতেছে। ভোটের দিন কেন্দ্র থাকে ভোটার শুন্য, কুকুর ঘুমিয়ে থাকে, ভোট না পরলেও ভোট গণনার সময় দেখা যায় বাক্সভর্তি ছিলমারা ব্যলট পেপার। কেননা, এখন ভোটের আগের রাতেই ছিল মেরে রাখা হয়। এমনি অনিয়ম এবার একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিবিসির ক্যামেরায় ধরা পরেছিল। মানুষের এ ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর অধিকার আদায়ের এ লড়াই থামানোর জন্য জবর-দখলকারী ক্ষমতাসীন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী একাকার হয়ে গেছে। এ অধিকার আদায়ে লড়াইরত রাজনৈতিক এ দল-বিএনপিকে হয়তো রুখতে পারবে না। কেননা, এ দল যে অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতেছে-তা কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক নয়, দলের নেতা-কর্মীদের স্বার্থেও নয়। জনগণের অধিকার তথা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন হয়তো দেশের সকল জনগণ এ লড়ায়ে শামিল হবে। দেশের জনগণ আজ দেখছে-চারদিকে কিভাবে অত্যাচার, নির্যাতন, দমন-পীড়ন, গ্রেফতার, জেল-জুলুম-রিমান্ড, নিপীড়ন, ধর্ষণ, গুম, খুন, অপহরণ, অবিচার, মিথ্যাচার, ভোট চুরি-ডাকাতি, দুর্নীতি, অনিয়ম চলতেছে….। দেশের জনগণ এও ভাবছে-১৯৭১ সালে দিশাহারা আধার এ জাতির সামনে যেমন জিয়াউর রহমান শুধু একজন ঘোষকই নয় সফল যোদ্ধা ও ত্রাতা হিসেবে আবিভূর্ত হয়ে লাল-সবুজ পতাকা উপহার দিয়েছিলেন। আজ তেমনি দেশের জনগনের অধিকার তথা ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর উত্তরসূরি থেকে এমন একজনের আবিভার্ব ঘটবে-যিনি পারবেন কৌশলী নেতৃতে¦ দিয়ে দুর্বিনীত দুঃশাসনকে পরাজিত করে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। দেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবসের সেই প্রেরণা (‘revolt….”). বা (I, Major Ziaur Rahman)নিয়ে দিন গুনছে-কবে মুক্তি পাবে দুঃশাসন থেকে আর ফিরিয়ে পাবে ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র। অপেক্ষার প্রহর গুনছে জনগণ। আজ স্বাধীনতা দিবসের সেই প্রেরণায় জনগণ।
মোঃ মিজানুর রহমান-লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।