
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজন করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা যিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দখল করে বসে আছেন তিনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তিনি এটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে তিনি আর কোনোদিন কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন না। সেজন্য আবার ওই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল নিয়ে আসার কথা ভাবছেন। এটা নিঃসন্দেহ এ দেশের জনগণের জন্য একটা আতংকের সংবাদ। এদেশের মানুষ কখনও একদলীয় শাসন মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ কখনোই এক ব্যক্তির শাসন মেনে নেবে না। দেশের মানুষ সব সময় প্রতিবাদ করেছে, বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে, যিনি (খালেদা জিয়া) সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তিনিই আজ কারাগারে। শুধু তাই নয়, তিনি অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতীক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা সবার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তিকে তরান্বিত করি। কেননা তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। এখনও তিনি যে কারাভোগ করছেন সেটাও তাঁর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম। আসুন আজকের এই দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যকে প্রসারিত করি। জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসি।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।